আওয়ার ইসলাম: পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী কাল থেকে মিয়ানমারে ফিরছে না বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। এখনো মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন নিয়ে অনেক কাজই বাকি আছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কাজ সম্পাদনে গঠিত যাচাই-বাছাই কারিগরি (টেকনিক্যাল) কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সুত্রমতে, নাফ নদের তীরে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো কোনো স্থান যেমন নির্ধারণ করা যায়নি তেমনি ট্রানজিট পয়েন্টগুলোতে এখন পর্যন্ত একটি তাঁবু পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ চালানো হচ্ছে দ্রুত। যেকোনো সময় প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা হবে।
গত ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিলো।
[caption id="attachment_58691" align="alignnone" width="500"] প্রত্যাবাসন চুক্তির অনুলিপি[/caption]
এ প্রসঙ্গে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কারিগরি (টেকনিক্যাল) কমিটির আহ্বায়ক এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কোনোভাবেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।’
তবে কাল থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হলেও শীঘ্রই হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম। তিনি জানান, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জরুরি কাজগুলো গুছিয়ে নেওয়ার পর যেকোনো সময়ই তা শুরু করা সম্ভব হবে।
এবং আমরা সেই কাজগুলোই আগে করছি। এটা সম্পন্ন হলেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম।
এসএস/