আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্র মনে করে রাখাইনের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হলেই কেবল রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো উচিত বলেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হলেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হোক, এটাই চায় যুক্তরাষ্ট্র’।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে পরারাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মার্শা বার্নিকাট।
এদিকে প্রথমে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা না পেলে জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবো না।
এ ছাড়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমরা ইউএন হাইকমিশন ফর রিফিউজিস অফিসকে ইনভলব করব। তো তারা একটা মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (সমঝোতা স্মারক) একটা ড্রাফট দিয়েছেন এবং এবং এটার উপরে কাজ হচ্ছে। এটা ফাইনাল হয়ে গেলে আমরা বাংলাদেশ এবং ইউএনএইচসিআরের (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার) মধ্যে অ্যাগ্রিমেন্ট সই হয়ে যাবে। তারপরে তাদের আমরা ইনভলব করব’।
তবে মিয়ানমারের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের ২৩ জানুয়ারি থেকেই ফিরিয়ে নেওয়া শুরু হচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এটাই বলব যে, দেখা যাক। এখন কাজটা তো চলছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। না চাইলে জোর করে ধাক্কা দিয়ে পাঠানো যাবে?
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত শীর্ষ কূটনীতিকরা বলেন, স্বদেশে ফিরে রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদ পরিবেশ পান, আলোচনায় সে বিষয়েই গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।
এসএস/