জুবায়ের হানিফ
শিক্ষার্থী
এই মসজিদ একবার দেখার জন্য প্রতিদিন হাজারো মানুষ দেওবন্দ প্রান্তরে ভীড় জমায় ৷ প্রেমসমাধি তাজমহল আর দিল্লির শাহি জামে মসজিদের নান্দনিক প্রতিচ্ছবির যেনো এক অপূর্ব মিলন মসজিদের এই অবকাঠামোটি। পাথরে পাথরে অভিনব কারুকার্য, নয়া নয়া নকশা দর্শককে দারুণভাবে মুগ্ধ করে।
আমার জীবনে দেখা সেরা মসজিদগুলোর অন্যতম৷ বলছিলাম মাদারে ইলমি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মসজিদ “মসজিদে রাশিদ”-এর কথা।
১৯৮৬ সালের ৪ এপ্রিল জুমার নামাযের পর কয়েকজন মহিরুহের হাতে মসজিদটির ভিত্তিস্থাপন হয়। মাওলানা হাকিম আব্দুর রশিদ মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মাহমুদ হাসান গাংগুহী. মাওলানা সাইয়্যেদ আস'আদ মাদানি, মাওলানা ওমর পালনপুরি রহ. বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য৷
এই মসজিদের নামকরণ করা হয় কুতুবুল ইরশাদ মাওলানা রশিদ আহমদ গাংগুহি রহ. এর নামে "মাসজিদে রাশিদ"৷ মাওলানা আব্দুল খালেক মাদরাসি এর তত্ববধানে প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর সময় নিয়ে দশ কোটি রুপি ব্যায়ে নান্দনিক এই মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয় ৷
প্রেমসমাধি তাজমহল আর দিল্লির শাহি জামে মসজিদের নান্দনিক প্রতিচ্ছবির যেনো এক অপূর্ব মিলন মসজিদের এই অবকাঠামোটি। পাথরে পাথরে অভিনব কারুকার্য, নয়া নয়া নকশা দর্শককে দারুণভাবে মুগ্ধ করে। অনেকে বলেন, আল্লাহর প্রেমে তৈরি করা তাজমহলের নাম “মসজিদে রশিদ”।
তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদে রশিতে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেইট রয়েছে ৷ সাদা সাদা মর্মর ও বেলে পাথরে তৈরি মসজিদটির স্রেফ চত্বরটিই বিশাল জায়গাজুড়ে। প্রায় আট হাজার মানুষ ভেতরের অংশে একযোগে নামায আদায় করতে পারে ৷ বাহিরের অংশসহ মোট ১৮ হাজার মানুষ একযোগে নামায পড়তে পারে৷
তথ্যসূত্রঃ- মুখতাসার তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ