আওয়ার ইসলাম : সেনাবাহিনীর হামলা-নির্যাতন আর ধর্ষণের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আজ প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর এ বৈঠকে প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট বা মাঠপর্যায়ের চূড়ান্ত চুক্তি করবে দুই দেশ। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে প্রত্যাবাসনের জন্য এক লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বাংলাদেশের পক্ষে এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন। দুই দেশের ১৫ জন করে মোট ৩০ সদস্যের সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের মংডু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গাদের গ্রামে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের ধর্ষণ হত্যাসহ তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশের ক্যাম্প থেকে তারাই মিয়ানমারের ক্যাম্পে যাবেন, যারা স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক। এ নিয়ে এরই মধ্যে খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে।