আওয়ার ইসলাম: নতুন বাজেটে ছিল তেতো দাওয়াই। মূল্যযুক্ত কর থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয়েছিল সব কিছুই। তার প্রতিবাদে ফের আরব বসন্তের ছায়া ঘনিয়ে উঠতেই তড়িঘড়ি তা সামাল দিতে নামল তিউনিশিয়া সরকার। ঘোষিত হল গরিবদের জন্য ৫ কোটি ডলারের আর্থিক প্যাকেজ। স্বাস্থ্য ও আবাসন খাতেও বরাদ্দ বাড়ানোর বার্তা দিলেন প্রেসিডেন্ট বেজি কায়েদ এসেবসি।
জনতার বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল গত ৭ জানুয়ারি। তাতে ছিল বিরোধী রাজনৈতিক মদতও। সেই থেকে নানা এলাকায় চলছে সংঘর্ষ, অবরোধ, গাড়িতে আগুন। গ্রেফতারি প্রায় ৮০০।
আজ শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হন রাজধানী তিউনিসের হাবিব বোর্গিবা অ্যাভিনিউয়ে। ছিলেন বহু মহিলাও। মিশরে যেমন তাহরির স্কোয়ার, তিউনিশিয়ায় তেমন হাবিব বোর্গিবা। সাত বছর আগেকার গণবিক্ষোভের কেন্দ্র।
দু’দশক তিউনিশিয়া শাসন করা জাইন আল-আবেদিন বেন আলিকে প্রেসিডেন্টের গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিল যে ক্ষোভ। অনেকের মতে, ২০১০-এর ডিসেম্বরে শুরু হওয়া সেই বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গই ছড়িয়ে পড়ে মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইনের মতো দেশগুলোতে। ঘটে যায় বহু রাজনৈতিক পালাবদল। সেই সময়টাই চিহ্নিত ‘আরব বসন্ত’ নামে।
আজ ছিল বেন-আলির উৎখাতের সপ্তম বর্ষপূর্তি। এ দিনই প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে দু’ঘণ্টার বৈঠকের পরে সংস্কারের একগুচ্ছ প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় পার্লামেন্টে। বলা হয়েছে, এতে উপকৃত হবেন আড়াই লক্ষ মানুষ। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ২৯০ কোটি ডলার ঋণের বোঝাও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এসেবসি তাই দেশবাসীকে বলেছেন, ‘‘শান্ত থাকুন। এটুকু বুঝুন, আমাদের দেশের হাতে খুব বেশি রাস্তা খোলা নেই।’’
এইচজে