আওয়ার ইসলাম: ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে পরিকল্পিত বৈঠকে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেব স্বীকৃতি দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে ফিলিস্তিনি নেতার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। খবর পার্সটুডের
এ প্রসঙ্গে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, রামাল্লাহর সেন্ট্রাল কাউন্সিলের বৈঠকে আমরা অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সংগঠনটি ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
হামাস আরো বলেছে, যে পরিস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তাতে পূর্ণাঙ্গ ও রাজনৈতিক পর্যালোচনা করতে পারবে না এবং আমরা যেমনটি আকাঙ্ক্ষা করি তাতে বাধা দেয়া হবে।
অপরদিকে ইসলামি জিহাদ আন্দোলন বলেছে, তারা এ বৈঠকে অংশ নেবে না। বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক পদক্ষেপ না নেয়ায় তার সমালোচনা করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি জিহাদ আন্দোলন।
দুই দিনের এ বৈঠকে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা বা পিএলও’র প্রধানরা যোগ দেবেন। হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন পিএলও’র অংশ না হলেও সংগঠন দুটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হামাস চেয়েছিল এ বৈঠক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বাইরে হোক কিন্তু ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পশ্চিম তীরের রামাল্লাতে বৈঠক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে যোগ না দেয়ায় হামাস ও মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের মধ্যকার ঐক্য প্রক্রিয়া সংশয়ের মধ্যে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের হামাস নেতা গুলিবিদ্ধ