আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হয় এমন একটি বিদেশি দুধে সালমোনেলা নামের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
তবে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূষণের কারণে ফরাসী শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ল্যাকটালিস ৮৩ টি দেশ থেকে তাদের গুঁড়ো দুধ তুলে নিচ্ছে।
বাংলাদেশেও ল্যাকটালিসের তৈরি দুষিত এই দুধ আমদানি হয়েছিল।
জানা গেছে, একটি আমদানি প্রতিষ্ঠান ২০,৩৩৫ কার্টন দুধ আমদানি করেছিল, যা বেবিকেয়ার ১ এবং বেবিকেয়ার ২ নামে বাজারে বিক্রি হয়।
তবে সরকারের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেছেন, ডিসেম্বরে প্রথম এই দূষণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে তারা ল্যাকটালিসের এই দুই ব্যাচের দুধ বাজেয়াপ্ত করতে নানা পন্থা নিয়েছেন।
তিনি জানান, ১ জানুয়ারি তারা আমদানি প্রতিষ্ঠানের গুদামে গিয়ে ১১,৬১৬ কার্টন দুধ সিলগালা করে দিয়েছেন।
‘আমরা আমদানিকারককে বলেছি, তারা যেন তাদের বিক্রেতাদের সাথে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করে বাকি দুধগুলো দ্রুত দোকান থেকে তুলে নেন। আমরা বিভিন্ন দৈনিকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞাপন প্রচার করেছি। সারাদেশে আমাদের পরিদর্শকদের দোকানগুলোতে কড়া নজর রাখতে বলেছি।’
‘আমদানিকারক আমাদের জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তারা ৮২৯ কার্টন দুধ দোকান থেকে প্রত্যাহার করতে পেরেছেন।’
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন দোকান থেকে অনেক মানুষই হয়তো ইতিমধ্যেই এই গুঁড়ো দুধ কিনেছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেবিকেয়ার ৩ এবং বেবিকেয়ার এমএফ নামে ল্যাকটালিসের আরও দুটো ব্যাচের একটি চালান বাংলাদেশের পথে। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে এগুলো ছাড়া না করানোর জন্য সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
সালমোনেলায় দুষিত খাদ্য খেলে শিশুদের ডায়রিয়া, বমি, পেট কামড়ানো এবং বিপজ্জনক পানিশূন্যতা হতে পারে।
তবে বাংলাদেশে শিশুরা এই দুধ খেয়ে বড় কোনো অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছেন. তেমন কোনো খবর এখনও কর্তৃপক্ষ পায়নি।
এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এ ধরনের অসুস্থতার ৩৫টি ঘটনা জানা গেছে। স্পেন থেকে একটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। গ্রীসেও শিশু আক্রান্ত হওয়ার একটি খবর তদন্ত করা হচ্ছে।
ফ্রান্সে ল্যাকটালিসের বিরুদ্ধে কয়েকজন অভিভাবক মামলাও করেছেন।
ল্যাকটালিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের ক্র্যাওন শহরে তাদের কারখানা থেকে এই দূষণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি