আওয়ার ইসলাম: ২০১১ সালে আরব বসন্ত ছিলো আলোচিত একটা ইস্যু। তিউনিসিয়ায় সরকার বিরুধী বিক্ষোভের মাধ্যমে এর সুচনা হয়েছিলো। এজন্য তিউনিসিয়াকে বলা আরব বসন্তের জন্মভূমি।
সরকারের সেচ্ছাচারিতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিউনিসিয়া বিক্ষোভ হয়েছিলো সাত বছর আগে। সে তিউনিসীয়ার অনেক লোক সীমান্ত পার হয়ে প্রতিবেশি আরব দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো।
তিউনিসীয় জনগণের বিক্ষোভের মুখে পতন হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাইন আল-আবিদিন বেন আলীর। তার পতনের সাত বছর পূর্তিতে আবার সেই একই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে রোববার দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়।
তবে এবারের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। জনগণের ভাষ্য, আরব বসন্তের ফলে বেন আলী বিদায় নিলেও দেশের পরিস্থিতি আজো পাল্টায়নি।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে রোববার সরকারের উচ্চপর্যায়ে জরুরি বৈঠক হয়। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৮০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বেজি চাইদ এসেবসি রোববার রাজধানী তিউনিসের একটি প্রশাসিক জেলা পরিদর্শন করেছেন। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের কষ্ট বোঝেন তিনি।
৭ জানুয়ারি থেকে তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ চলছে। ওই দিন দেশটির ২০১৮ সালের বাজেটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই থেকে কমপক্ষে ১০টি পৃথক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বাজেট বাতিল করে পণ্যের দাম কমিয়ে নতুন বাজেট ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা। তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা অনলাইন।
এসএস/