আওয়ার ইসলাম: তীব্র শীত উপেক্ষা করেই রবিবার (১৪ জানুয়ারি) লাখো মানুষ অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে। মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি এবং দেশের কল্যাণ কামনা করা হয় মোনাজাতে।
আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। লাখ লাখ মুসল্লির কণ্ঠে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’, ধ্বনিতে মুখরিত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব।
রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। এবারের মোনাজাত হয়েছে বাংলায়। পরিচালনা করেছেন কাকরাইল মসজিদের হাফেজ মাওলানা জোবায়ের। এর আগে হেদায়তি বয়ান করেন মাওলানা আব্দুল মতিন।
কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বাস, ট্রাক, ট্রেন, নৌকা-লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে হাজার হাজার মুসল্লি টঙ্গীতে জমায়েত হন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত ছিল।
ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে অনেক মুসল্লি আখেরি মোনাজাতের জন্য খবরের কাগজ, পাটি, বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে সড়কে, অলি-গলিসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
মোনাজাতের সময় ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশের এলাকায় নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। খানিক পর পর শুধু ভেসে আসে আমিন, ছুম্মা আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনি। আর মানুষের কান্নার আওয়াজে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান মুসল্লিরা। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন তারা।
নানা বয়সী বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশাপাশি নারীদেরও মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়। এমনকি বাসা-বাড়ি ও কারখানার ছাদ, নৌকা, বাসের ছাদ, ফুটওভার ব্রিজ-যে যেখানে পেরেছেন সেখানে বসেই দু’হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন তারা।
আখেরি মোনাজাতে বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গুলশানের কার্যালয় থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেন। ইজতেমা ময়দানে মূল মঞ্চে বসে আখেরি মোনাজাতে মুসলিম দেশের কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা ও পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন বলে জানা যায়।
এইচজে