আওয়ার ইসলাম : আখেরি মোনাজাতে যোগ দিতে, মানতে হবে ১৩টি নির্দেশনা।তার মধ্যে অন্যতম, ব্যাগ বা পোটলাজাতীয় কিছু নিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে যারা এরই মধ্যে ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।খবর ঢাকা টাইমস-এর।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হচ্ছে রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। বেলা ১১টার দিকে এই মোনাজাত হবে।
এই মোনাজাতে যোগ দেয়ার বিষয়ে মোট ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার মধ্যরাত থেকেই টঙ্গীর তুরাগ তীরের আশেপাশের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
দুই পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে প্রথম পর্বেই সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। লাখো মানুষের ভিড় ময়দান পেরিয়ে আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইজতেমায় এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। তারপরও প্রতিবারই নিরাপত্তার দিক থেকে কড়াকড়ি থাক।
আর ২০১৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি হামলা এবং হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রেক্ষিতে এবার নিরাপত্তার কড়াকড়ি আরও বেশি। আবার এর মধ্যে ইহতেমা শুরুর পর তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। অভিযানের পর র্যাব জানিয়েছে, জঙ্গিরা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিল। আর এই হামলার জন্য একটি দলই এসেছিল কি না, তাদের অন্য কোনো সহযোগী আছে কি না, এই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এই প্রেক্ষিতে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে ব্যাগ বা পোটলা নিয়ে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে প্রচারও করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ব্যাগের ব্যাপারে আমরা একটি নির্দেশনা দিয়েছি। এটি প্রতিটি মিডিয়াতে প্রচার করছে। ব্যাগের বিষয়টি শুধুমাত্র আখেরি মোনাজাতের জন্য প্রযোজ্য। যারা ইজতেমায় তাবলীগের জন্য এসেছেন তাদের এই নির্দেশনা পালন করতে হবে না। তবে যারা শেষ দিন আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে আসবেন, তাদের জন্য এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।’
এবারই এথম এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি পুলিশ। নানা সময় নববর্ষের উদযাপন এমনকি ঈদের জামাতেও এই ধরনের আদেশ জারি করেছিল পুলিশ।
অন্যান্য নির্দেশনা
ব্যাগ বহন করা ছাড়াও টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যত্রতত্র ঘুরাফেরা না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
অজ্ঞান পার্টির কবল থেকে রক্ষা পেতে ফেরিতে বা হকারের কাছ থেকে খাদ্য কিংবা পানীয় গ্রহণ না করে স্থায়ী দোকান থেকে কেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মুসল্লিদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে চলাফেরার জন্য ইজতেমা চলাকালে ময়দানের পাশে প্রধান সড়ক ও পাশের বা অন্য কোনো সড়ক এবং এলাকায় তাবু না খাটাতে বলেছে পুলিশ।
অসুস্থ হলে ইজতেমার নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল, নিকটবর্তী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন হলে আইনশৃঙখলা বাহিনীর সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
ট্রেনে নাশকতার সম্পর্কে জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধও করা হয়েছে।
রান্না করার সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখা, খিত্তা এলাকায় ধূমাপান না করা এবং খিত্তায় সবসময় পানি মজুদ করে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।