আওয়ার ইসলাম : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও প্রচারনার মাধ্যমে পুরোমাত্রায় সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
আসন্ন নির্বাচনে সাফল্য পেতে দেশজুড়ে ১২ লাখ কর্মীকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া। খুব দ্রুততম সময়ে এ কর্মসূচি শুরু করা হবে।
সেইসঙ্গে অন্তত চারটি প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম সার্বিক বিষয় দেখভাল করবেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে খুব দ্রুতই সারাদেশে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হবে।
এ পরিকল্পনাটি খুব কম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি অনুমোদন দিলেই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ পরিকল্পনার আওতায় কমপক্ষে ১১ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ কর্মীকে পোলিং এজেন্ট করা হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে কমবেশি ৪৬ হাজার ৫০০টি ভোটকেন্দ্র হতে পারে।
একেকটি ভোটকেন্দ্রে গড়পড়তা পাঁচটি করে বুথ করা হলে মোট বুথের সংখ্যা হবে দুই লাখ ৩২ হাজার ৫০০টি। তবে এ সংখ্যার চেয়ে কমপক্ষে পাঁচগুণ বেশি পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হবে।
আগামী মার্চ মাস থেকে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করার প্রস্তুতি রয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা শেখার পাশাপাশি সঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি শেখানো হবে।
তিনশ' সংসদীয় আসনের আওতাধীন সাতটি প্রশাসনিক বিভাগের (আটটি রাজনৈতিক বিভাগ) পাশাপাশি ৬৪টি প্রশাসনিক জেলা ও ৪৯১টি উপজেলায় এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে।