খতিব তাজুল ইসলাম
আলেম, স্কলার
অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধি আমি হলে বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াতাম! পুলিশকে সময় দেয়ার কথা বলতাম।
তাদের সকলকে ডেকে এনে সমাধানের পথ খুঁজতাম। ব্যাটারি চার্জের জন্য সরকারি ভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে মিটার সিস্টেম চারজিং পয়েন্ট বসাতাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির প্লান নিতাম। গরিবের জন্য রাষ্ট্র কিছুই করবে না! আবার বুলডোজার দিয়ে তাদের কোমর ভেংগে দিবে তা কোন ক্রমেই মেনে নিতে পারি না।
হ্যাঁ আমাদের ইসলামি রাজনীতিবিদগণ অবশ্য বলবেন যে, এখানে তো কুরআন সুন্নাহর কোন বরখেলাপ হচ্ছে না অতএব আমাদের করার কিছু নেই। এই মানসিকতা থেকে বের হতে পারলে ইসলামি রাজনীতি সফল হবে তার আগে নয়।
এটা কেমন বিচার? যারা ব্যাটারি চালিত টমটম তৈরি করার সামগ্রী বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের কোন বিচার নেই অথচ যারা কোন রকম ধার-দেনা করে সংসার চালানোর জন্য অতি কষ্টে একটি টমটম ক্রয় করে তা চালিয়ে কোন রকম সংসার চালাতো তাদের উপর চালানো হলো রোলার।
যারা দায়িত্ববান তারা কি জানে না গরিবের টমটম না ভেঙ্গে যারা এগুলো তৈরি করার সামগ্রী বিক্রয় বা আমদানি করে তা বন্ধ করে দিলেই তো হয়। তাতে গরিবের কষ্টের টাকাগুলো তারা অন্য কাজে ব্যবহার করে অন্তত সংসার চালানোর চেষ্টা করবে।
অযথা গরিবের পেটে লাথি না মেরে যারা মূল নাটের গুরু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ!
বিশ্ব ইজতেমার বয়ান ০১; শায়খ ওমর খতিব