আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
সৌদি আরব তার রক্ষণশীল ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। বিশেষত পশ্চিমা ধাঁচে নারীর সামাজিক স্বাধীনতা প্রদানে উদগ্রীব সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান।
ইতোমধ্যে সৌদি আরব নারীদের ড্রাইভিং, খেলাধুলার আসর, একাকি ভ্রমণ, উন্মুক্ত স্টেডিয়ামে গমনের অনুমতি দিয়েছে।
আর এসব পদক্ষেপের পেছনে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করছে বিভিন্ন দেশের নারী স্বাধীনতার নানা চিত্র ও সুফল।
সৌদি আরবের সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশি একজন নারী অটো-ড্রাইভারকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করলো সৌদি আরবের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
‘ড্রাইভিংয়ে সাফল্য : যেভাবে সমাজের রোল মডেল হয়ে উঠলো একজন দরিদ্র্য নারী ড্রাইভার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের স্বপ্না রাণী (৩২) এর দারিদ্রমুক্তির গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের ভাষ্য মতে স্বপ্না রাণী আগে দু’বেলা খাবার জোটাতে পারতো না। বছরে একটি নতুন কাপড় ছিলো তার কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্তু এখন তার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন তাকে আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয় না।
দুই সন্তানের মা স্বপ্না রাণীর অল্প বয়সে বিয়ে হয়। দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর তার স্বামী রতন চন্দ্র বর্মণ তাকে ছেড়ে চলে যায়।
এখন তার বড় মেয়ে রাধা রাণীর বয়স ১৩ বছর এবং ছোট ছেলে হৃদয় চন্দ্র বর্মণের বয়স ১১ বছর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল হকই তাকে প্রথম স্থানীয় পযায়ে অটোরিক্সা চালানোর প্রস্তাব দেন। এখন প্রতিমাসে তার উপার্জন ৪০ হাজার টাকা।
সে আরও জানিয়েছে, তার এলাকায় এখনও সেই একমাত্র নারী অটো-রিক্সা ড্রাইভার। মেয়েরা ভয় পায় তারা হয়তো দুর্ঘটনার শিকার হবে এবং ঠিক মতো রিক্স চালাতে পারবে না।
স্বপ্ন রাণী এখন তার সন্তানদের লেখাপড়ার পেছনে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা খরচ করে। সে এলাকার একজন আদর্শ মা বলে দাবি করেছে প্রতিবেদক।
আরব নিউজ অবলম্বনে