আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীগুলিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে একটি সুড়ঙ্গ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের জোজিলা গিরিপথে এই সুড়ঙ্গ সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৯৫ কোটি ১০ লক্ষ ডলার ব্যয়ে এই সুড়ঙ্গপথ নির্মিত হবে। এটা হতে চলেছে এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ দ্বিমুখী সুড়ঙ্গ সড়ক। দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে এটি নির্মাণে সাত বছর সময় লাগবে।
এর অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে থাকে। এই সুড়ঙ্গপথ শ্রীনগর থেকে লে পর্যন্ত পথের দূরত্ব একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। তুষারপাত ও তুষারধসের আশঙ্কায় এই পথ বছরের ছয় মাস বন্ধ থাকে। গাজানিনের সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ জেড-মোরাহ সুড়ঙ্গসহ অন্যান্য প্রকল্প কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চলে নিরাপদ, দ্রুত ও সস্তায় যোগাযোগ নিশ্চিত করবে।
জোজিলা টানেল প্রকল্পে থাকবে ১৪.১৫ কিমি দৈর্ঘ্যের দুটি বিপরীতমুখী সিঙ্গেল টিউব টানেল। এর সমান্তরালে ১৪.২ কিমি প্রস্থান টানেল থাকবে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের বালতাল ও মিনামার্গ-এর মধ্যে অ্যাপ্রোচ পথ থাকবে।
এই পথ সারা বছর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পাবর্ত্য জনপদগুলির সংযোগ রক্ষা ছাড়াও চীন ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক রসদ পাঠানোর কাজ সহজ করবে। বিরূপ আবহাওয়া ও প্রবল তুষারপাতের কারণে বছরের ছ’মাস ওই অঞ্চলের পথঘাট যান চলাচলের অনুপযোগী থাকে। ফলে কার্গিল সেক্টরের মতো উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাতেও সেনাবাহিনীর রসদ পাঠানো নিয়ে ভারতকে সবসময় চিন্তায় থাকতে হয়।
তাছাড়া এই এলাকায় প্রায়ই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে এবং অতীতে এখানে যুদ্ধও হয়েছে। লাদাখ, গিলগিট ও বাল্টিস্তান অঞ্চলে পাকিস্তান ও চীনের ব্যাপক কৌশলগত তৎপরতার মুখে এই সুড়ঙ্গপথের বড় রকমের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। এই অঞ্চলে ভারতের দুর্বল পরিকাঠামোর কারণে ১৯৯৯ সালের শীতে দ্রাস ও বাটালিক হিল এলাকায় পাকিস্তানী সেনারা প্রবেশ করে।
এইচজে