শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইরানের পরমানু চুক্তি বাতিল প্রশ্নে আমেরিকাকে যুক্তরাজ্যের চ্যালেঞ্জ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইরান পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান অবস্থানের প্রতি চ্যালেঞ্জ যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এই চ্যালেঞ্জ ছুড়েন।

ব্রাসেলসে ইরান ও ইউরোপিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বরিস জনসন বলেন, ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে দেশটির সঙ্গে করা চুক্তির বিকল্প পারলে যুক্তরাষ্ট্র খুঁজে বের করুক। ওটা ছিলো একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য চুক্তি।

তিনি বলেন, ওই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র প্রাপ্তি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। জনসন জোর দিয়ে বলেন, ওই চুক্তি সম্পূর্ণ মেনে চলছে ইরান। খবর দিয়েছে বিবিসি।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন  ধরেই ইরান পারমাণবিক চুক্তির বিরোধীতা করে আসেছেন।

তিনি এই চুক্তি বাতিল বা সংশোধন চান। ইরান এই চুক্তি মেনে চলছে বলে প্রত্যায়ন করা থেকেও তিনি বিরত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান সরকার এই ‘চুক্তির চেতনা’ মেনে চলছে না।

ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে কিনা, সেটি শুক্রবারের মধ্যে তাকে নির্ধারণ করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছিলেন।

যখন নিষেধাজ্ঞা ছিল, তখন ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া ইরানের তেল কিনলে জরিমানা আরোপের বিধানও রাখা হয়। এর ফলে ইরানের অর্থনীতি বিপাকে পড়ে। এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়েই ইরান পারমাণবিক চুক্তি করতে রাজি হয়।

বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভাদ জারিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতিনিধিরা ওই চুক্তির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইইউর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেন, এই চুক্তি কাজ করছে। এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য, অর্থাৎ ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে সীমিত রাখা যাচ্ছে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ