আওয়ার ইসলাম : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর দুই ছেলের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, জনগণের সম্পদ আর লুটপাট ও পাচার করতে দেওয়া হবে না। এ ধরনের অপকর্ম তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি। এতে প্যারাডাইজে পেপারসের তালিকাসহ অর্থপাচারের প্রসঙ্গ ছিল। জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।
এ লক্ষ্যে সরকারের সব সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০১২ সালে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার সে দেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও নাশকতার পরও দেশের ৪০ ভাগেরও বেশি মানুষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে।
সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে বলেই দেশের মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। আগামী দিনেও সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আমরা যেসব মেগা প্রকল্পগুলো নিয়েছি তা সম্পন্ন করতে পারব, দেশ আরো উন্নত ও এগিয়ে যাবে। তবে দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনও কেউ যদি বানচালের চেষ্টা করে জনগণই তা প্রতিরোধ করবে, সেই বিশ্বাস আমার রয়েছে।’
অারএম/