আওয়ার ইসলাম: এবার সরাসরি ‘গোরক্ষক’দের প্রতি বার্তা ভারতের গোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বৈধভাবে গোমাংস আমদানির ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করলে রেয়াত করা হবে ন। অভিযুক্তদের শাস্তি হবে।
গোরক্ষকদের দ্বারা নিগ্রহের প্রতিবাদে মাংস ব্যবসায়ীদের রাজ্যজুড়ে বনধ প্রত্যাহারের পরদিন এ কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার গোমাংস ব্যবসায়ীরা তাঁদের চারদিনের বনধ প্রত্যাহার করেন।
পার্শ্ববর্তী রাজ্য কর্নাটকের বেলাগাভি থেকে যে ব্যবসায়ীরা গোমাংস আমদানি করেন, তাঁদের প্রতি কোনও ধরনের হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না বলে পুলিশের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর ওই বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই বন্ধের ফলে গোয়ায় গোমাংসের ঘাটতি দেখা দেয়।
কর্নাটকে বেআইনি কসাইখানা থেকে মাংস রফতানি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গোমাংসবাহী ট্রাকগুলিকে নিশানা করেছিল গৌ রক্ষা অভিযান নামে একটি এনজিও। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
গোয়া-কর্নাটক সীমানায় গোরক্ষকদের গোমাংসবাহী ট্রাক থামিয়ে দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পর্রীকর বলেছেন, বৈধভাবে আমদানির ক্ষেত্রে কোনওরকম হস্তক্ষেপ হয়েছিল কিনা, তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। পুলিশকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সঠিক বিল ও নথিপত্র থাকলে এক্ষেত্রে কোনওরকম বাধা দেওয়া যায় না।
একইসঙ্গে পর্রীকর বলেছেন, রাজ্যের সীমানায় আইনি কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ ফ্রান্সিস সারডিনহা অভিযোগ করেন, অনেক গোরক্ষক-কে মদত দিচ্ছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। তাঁর আরও দাবি, এভাবে ‘আরএসএস কর্তা’দের তুষ্ট করা হচ্ছে।
গোরক্ষকদের নিগ্রহ রুখতে গোয়া সরকার ব্যবস্থা না নিলে কর্নাটকের কসাইখানাগুলি মাংস সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছিল। বেলাগাভি থেকে দিনে প্রায় ২৫ টন গোমাংস গোয়াতে নিয়ে আসা হয়।
আম আদমি পার্টির অভিযোগ, কয়লা সংক্রান্ত দূষণ ও মহাদেয়ী নদীর জলবন্টন সংক্রান্ত সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য গোয়ায় ‘গোমাংস সংক্রান্ত সংকট’ তৈরি করা হয়েছে।
এবিপি নিউজ
এইচজে