আওয়ার ইসলাম: আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পূর্ব তীরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পবিত্র হজের পর মুসলমানদের বৃহত্তম এ ধর্মীয় সমাবেশে দেশ বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
এবারের দু’পর্বের ছয়দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের তিনদিনের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি।
আখেরি মোনাজাত দু’পর্বেই পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ১৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্বের ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। এবারের প্রথম পর্বের ইজতেমায় ১৬টি জেলার মুসল্লি অংশ নিবেন। ইজতেমার শুরুর দিনই অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। জুমার নামাজে দেশি বিদেশি মুসলমানদের সঙ্গে অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শরিক হবেন। ইতোমধ্যে মুসল্লিরা ছোট ছোট জামাতে আসতে শুরু করেছেন।
এবার প্রথম পর্বের ১৬টি জেলার জন্য পুরো প্যান্ডেলকে ২৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এতে ১নং খিত্তায় ঢাকা-০৮, ২নং খিত্তায় ঢাকা-০৯, ৩নং খিত্তায় ঢাকা-১০, ৪নং খিত্তায় ঢাকা-১১, ৫নং খিত্তায় ঢাকা-১২, ৬নং খিত্তায় ঢাকা-১৩, ৭নং খিত্তায় ঢাকা-১৬, ৮নং খিত্তায় ঢাকা-১৭, ৯ নং খিত্তায় পঞ্চগড়, ১০ নং খিত্তায় নীলফামারী,
১১ নং খিত্তায় শেরপুর, ১২ নং খিত্তায় নারায়ণগঞ্জ-০১, ১৩নং খিত্তায় গাইবান্ধা, ১৪ নং খিত্তায় নাটোর, ১৫নং খিত্তায় মাদারীপুর, ১৬ নং খিত্তায় ঢাকা-২৪, ১৭ নং খিত্তায় নড়াইল, ১৮ নং খিত্তায় ঢাকা-১৫, ১৯ নং খিত্তায় নারায়ণগঞ্জ-০২, ২০ নং খিত্তায় ঢাকা-১৮, ২১ নং খিত্তায় ঢাকা-১৪, ২২ নং খিত্তায় লক্ষ্মীপুর-১,
২৩ নং খিত্তায় লক্ষ্মীপুর-০২, ২৪ নং খিত্তায় ঝালকাঠি, ২৫ নং খিত্তায় ভোলা-০১, ২৬ নং খিত্তায় ভোলা-০২, ২৭ নং খিত্তায় মাগুরা ও ২৮ নং খিত্তায় পটুয়াখালী জেলার মুসল্লিগণ অবস্থান নেবেন।
ইজতেমা মাঠে দায়িত্বে নিয়োজিত আয়োজক কমিটির অন্যতম মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, মাঠে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমায় শুধু ৩২টি জেলার মুসল্লি দুই পর্বে অংশ গ্রহণ করবেন। বাকি ৩২টি জেলার মুসল্লি আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কর্মকাণ্ড সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে দুই পর্বে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাত হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবে।
এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম ও অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে।
এইচজে