তাওহীদ মাদানী
দেওবন্দ থেকে
ভারতের উত্তর প্রদেশের যোগী অদিত্যনাথ সরকার গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুসলমানদের ধর্মীয় উপসনালয় মসজিদ থেকে অতিসত্তর সব ধরণের লাউডস্পিকার অপসারণের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মসজিদগুলোকে সকল ধরণেক লাউড স্পিকার মুক্ত দেখতে চাই৷
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন পূর্বে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত কতৃক লাউড স্পিকারের ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, গুরদুওয়ারাসহ কোনো ধর্মীয় উপসনালয়েই প্রশাসন কতৃক অনুমতিবিহীন ব্যবহার করা যাবে না লাউড স্পিকার৷
আদালত কতৃক উক্ত নির্দেশ যদিও সকল ধর্মের ধর্মীয় উপসনালয়ের ক্ষেত্রেই বরাবর তবুও সরকার মহলের মাথা ব্যাথা কেবল মসজিদগুলোর ব্যাপারেই৷ ফলে বিশেষভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে মুসলমানদের উপর৷
এ ব্যাপারে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন মসজিদ কমিটি থেকে স্থানীয় সাংবাদিকগণ সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তারা জানান, আদালত থেকে সমস্ত ধর্মের উপাসনালয়ের ক্ষেত্রে ফায়সালা হলেও কেনো সরকার প্রধানের মাথা ব্যাথা কেবল মসজিদ-মাদরাসা ঘিরেই তা আমাদের বোধগম্য নয়৷
অপরদিকে এ ব্যাপারে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি ও দারুল উলুম দেওবন্দে মুহাদ্দিস মাওলানা সাইয়েদ আরাশাদ মাদানী বলেন, যদি এই প্রজ্ঞাপন নিরপেক্ষ হয়ে থাকে এবং প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে লাউড স্পিকার চালানোর অবকাশ থাকে তবে আমারা এই প্রজ্ঞাপনকে সাধুবাদ জানাই৷
কিন্তু দেখার বিষয় হলো মুসলমানগণ অনুমতি চাইলে অনুমতি পাবে কি না? এবং এই প্রজ্ঞাপন নিরপেক্ষ থাকবে কি না? যদি মুসলমানদেরকে অনুমতিও না দেয়া হয় এবং নিরপেক্ষও না থাকে তবে তো স্পষ্টই যে, এই প্রজ্ঞপন নিতান্তই মুসলমানদের কোণঠাসা করার জন্যেই জারি করা হয়েছে৷
এইচজে