আওয়ার ইসলাম: আলেমদের মতামত ও সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেই বুধবার ঢাকায় আসছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। একাধিক সূত্রে আওয়ার ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
জানা গেছে, ১২ জানুয়ারি এবারের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলেও মাওলানা সাদ বুধবার ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসবেন। বেলা ১টা ৩০ মিনিটে তিনি যাত্রা করবেন।
বাংলানিউজ সূত্রে জানা যায়, মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দিনের জামাতের সদস্যদের বাংলাদেশ সরকার বিশেষ কূটনৈতিক ভিসা দিয়েছে।তারা এরইমধ্যে বাংলাদেশগামী বিমানের টিকিটও বুকিং দিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি যাত্রবাড়ীতে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় অনুষ্ঠিত তাবলিগের শুরু ও আলেমদের বৈঠকে এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদের না আসার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিবর্তে বৈঠকের ফয়সাল নিজামুদ্দিনের দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের আসার সিদ্ধান্ত দেন।
এ সিদ্ধান্ত সেদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হস্তান্তর করা হয়। তখন সবাই জানতেন ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের বাইরে মাওলানা সাদ বাংলাদেশে আসবেন না।
এদিকে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দও তার প্রতি আস্থাশীল নয় বলেই ভারত সফরকারী প্রতিনিধি দলের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। সে প্রতিবেদন প্রতিনিধির সদস্যরা সরকারপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
যদিও প্রতিনিধি দলকে মাওলানা সাদ যে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন সেখানে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন আগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে তিনি এবারের ইজতেমায় আসবেন।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে অনেক দেনদরবার হলেও শেষ পর্যন্ত মাওলানা সাদ ইজতেমায় আসার সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন।
গত ৭ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর ওই বৈঠকে উপস্থিত ২১ সদস্যের ১৩ জনই মাওলানা সাদের না এসে প্রতিনিধি আসার ব্যাপারে মত দিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য ৭ জন সদস্য তার আসার ব্যাপারেই মত দেন।
ওই সাত সদস্যের একটি চিঠিও এসেছে আওয়ার ইসলামের কাছে। যেখানে দেখা যায়, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তারা বলেছেন, তাবলিগের শুরার ১১ জনের মধ্যে ৭জন তথা সংখ্যাগরিষ্টজন মাওলানা সাদের আসার পক্ষে। এ অবস্থায় তাকে না আসার ফয়সালা সাংঘর্ষিক।
চিঠিতে তারা বিষয়টি জানিয়ে মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
পড়ুন: মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিষয়ে আলেমদের চূড়ান্ত মতামত
ইনস্টল করুন ইসলামী যিন্দেগী অ্যাপ