বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক চার মাস ধরে কারাবন্দি ড. সালমান আল আওদার ১৭ জন আত্মীয়ের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বরাত দিয়ে আলজাজিরা আরবি একথা জানিয়েছে।
আওদার পরিবারের এক সদস্যের বরাতে রোববার এক বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলেছে, সম্প্রতি আওদার এক আত্মীয় দেশত্যাগের চেষ্টা করলে তিনিই প্রথম বিষয়টি জানতে পারেন।
তিনি বলেন, এক পাসপোর্ট কর্মকর্তা তার পরিবারের এক সদস্যকে জানায়, রাজপ্রাসাদ অজানা কারণে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশি স্বার্থে কাজ করা ব্যক্তিদের’ গ্রেফতার অভিযানের আওতায় ড. সালমান আল আওদাকেও আটক করা হয়।
সৌদি এই ইসলাম প্রচারকের আত্মীয়দের অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনা সম্পর্কে এইচআরডব্লিউ’র মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রধান সারা লিয়া উইটসন বলেন, ‘সৌদি বিচার বিভাগ যদি অবাধ গ্রেফতার ও শাস্তির মাধ্যমে আইনের শাসনের প্রতি এভাবে অবিরত অশ্রদ্ধা দেখাতে থাকে, তাহলে দেশটিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার পুরোটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন বন্দির স্বজনদের কোনো অভিযোগ বা যৌক্তিক কারণ ছাড়া এভাবে শাস্তির দেয়া কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে না।’
এইচআরডব্লিউ আরও জানিয়েছে, আওদার বিরুদ্ধে সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ এ পর্যন্ত দায়ের করতে পারেনি। চার মাসে শুধু একবার ১৩ মিনিটের জন্য ফোনে কথা বলার অনুমতি ছাড়া তাকে কোনো অধিকার দেয়া হয়নি।
আওদার পরিবারের এক সদস্য বলেছেন, সালমান আওদার বিরুদ্ধে সৌদি কর্তৃপক্ষ আনু্ষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। কারাগারে তাকে একাকী অন্তরীণ রাখা হয়েছে।
তার ধারণা, গত জুনে কাতারকে বয়কট করলে সৌদি কর্তৃপক্ষের সমর্থনে টুইটারে বিবৃতি প্রদানের আদেশ না মানাতেই তাকে বন্দি রাখা হয়েছে। উল্টো তিনি ৯ সেপ্টেম্বর একটি টুইট করে এই দোয়া করেন- ‘হে আল্লাহ, আপনি সব জাতির মধ্যে সৌহার্দ্য তৈরি করে দিন, যাতে সবার কল্যাণ সাধিত হয়।’ উৎস: পরিবর্তন ডটকম