আওয়ার ইসলাম : আরাকান রাখাইন সলভেশন আর্মি (আরসা) গত শুক্রবার মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর উপর পরিচালিত এক হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।
তাদের ভাষায়, রোহিঙ্গাদের ওপর যা হচ্ছে, তা মিয়ানমারের সরকার সমর্থিত সন্ত্রাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তাদের সে আক্রমণের দায়িত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি জানিয়েছে তাদের এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আরসার নেতা আতা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে টুইটারে। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আরসার সামনে বার্মার রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া নিজেদের রক্ষা ও উদ্ধার করার অন্য কোনো উপায় নেই।’
আতা উল্লাহ বিবৃতিতে আরো লিখেছেন, রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ মানবিক চাহিদা মেটানো ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শুক্রবার মিয়ানমারে সেনা সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এতে কমপক্ষে ৫ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, ২০ জন বিদ্রোহী পাহাড় থেকে সেনা সদস্যদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালায়। হাতে তৈরি বোমা ও অস্ত্রের সাহায্যে এই হামলা চালায় তারা।
তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আরসার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ মিয়ানমার বাহিনীর ভয়াবহ অভিযানের মুখে তাদের এ আক্রমণ সাজানো নাটক বলেও মনে করেন অনেকে।
সূত্র : আরব নিউজ