হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: ঐতিহাসিক দীনি বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের দেয়া বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়ার বিরোধিতায় এবার মাঠে নেমেছে বিজেপি।
বিজেপির রাজনৈতিক মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি দারুল উলুম দেওবন্দকে আদিম যুগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংকীর্ণ চিন্তার অধিকারী অভিযুক্ত করে বলেন, দেওবন্দ পুরো ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার কাজ হলো সমাজের অন্ধকার দূর করা, আলো ছড়ানো। কিন্তু দেওবন্দ অন্ধাকার দূর করার পরিবর্তে নানা সময়ে ফতোয়া জারি করে মুসলিম সমাজে আরো অন্ধকার ছড়াচ্ছে!
তার এ হটকারিমূলক বক্তব্যের কঠোর প্রতিবাদ করেছেন ভারতীয় উলামায়ে কেরাম।
এ বিষয়ে দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা মুফতি আবুল কাসেম নোমানি বলেছেন, কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি দারুল উলুম সম্পর্কে কী ধারণা রাখে তা দেখার বিষয় নয়। কুরআন হাদিসের আলোকেই ফতোয়া প্রদান করা হয়। দেওবন্দও ইসলামি শরিয়ত তথা কুরআন হাদিসকে সামনে রেখে ফতোয়ার কাজ করে যাবে। এক্ষেত্রে দেওবন্দ কারো পরোয়া করে না।
এব্যাপারে মাহনামা দারুল উলুমের মুখপাত্র মাওলানা নাদিম আল ওয়াজদি বলেছেন, দীনি মাদারিসের উপর এধরনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আমরা এতে মোটেও চিন্তিত নই। বরং আমরা মনে করি ইসলাম ১৪ শ’ বছর পুরনো একটি আসমানি ধর্ম। আর আমরা সেই সঠিক ধর্মের অনুসারী। সুতরাং আমাদের শিক্ষা আসমানি শিক্ষা হওয়ায় তাও ১৪ শ’ বছরের পুরনো এবং ভেজালমুক্ত শিক্ষা।
আর ইসলামের শিক্ষা কখনোই যুগ চাহিদার বিপরীতে ছিলো না। ইসলামি শিক্ষা সব যুগেই সমভাবে ফিট হয়। এবং ইসলামি শিক্ষাকে কোনভাবেই সংকীর্ণ শিক্ষা বলার সুযোগ নেই। যারা অভিযোগ করে তাদেরই জ্ঞানের দৈন্যতা রয়েছে।
মিল্লাত টাইমস