অনলাইন ডেস্ক: প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর তুষার ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের ৪ লাখ বাংলাদেশিসহ প্রায় তিন কোটি মার্কিনী গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রচন্ড তুষার ঝড়। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ মাইল বেগে বইছে বাতাস।
প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে এ যাবত নিহত হয়েছেন ১৭ জন মার্কিনী। এর মধ্যে উইসকনসিন-৬, টেক্সাস-৪, নর্থ ক্যারোলিনা-৩, মিসৌরি, জর্জিয়া, মিশিগান এবং নর্থ ডাকোটায় একজন করে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, এসব এলাকায় ১২ ইঞ্চি থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে। এ ছাড়াও বোষ্টন ও লং আইল্যান্ডে উপকূলীয় এলাকায় ১২ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। বোষ্টনের রাস্তা ডুবে যায় গলে যাওয়া বরফের পানিতে।
ভয়ংকর দুর্যোগের কারণে নিউ ইয়র্ক, বোষ্টন,ফিলাডেলফিয়া, বাল্টিমোর, প্রভিডেন্সসহ ১১টি সিটির সকল স্কুলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ২ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়। সরকারি অফিসে উপস্থিতির ওপর কোনো বাধ্যকতা ছিল না।
নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেটস, কানেকটিকাট প্রভৃতি অঙ্গরাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হবার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্য গভর্নরেরা।
নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে অবস্থিত এয়ারপোর্টসমূহে দুই হাজার ফ্লাইটসহ বোষ্টন, ফিলাডেলফিয়া, ভার্জিনিয়া প্রভৃতি এলাকার ৪ হাজার বিমানের উঠানামা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান পোর্ট অথরিটির নির্বাহী পরিচালক রীক কটন। এসব যাত্রীদের পরবর্তী ফ্লাইটের কনফার্মেশনের অপেক্ষায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড, ওজনপার্ক, পার্কচেস্টার, হাডসন, নিউ জার্সির প্যাটারসন, আটলান্টিক সিটি, পেনাসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া, আপারডারবি, মিল বোর্ণ সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার সকল দোকানপাট ছিল জনমানব শূন্য। নিউইয়র্ক সিটিতে ২৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশি ট্যাক্সি ড্রাইভারের ৯০ ভাগ বেরই হতে পারেননি।
নিউ ইয়র্ক সিটির বাস ও সাবওয়ে চলাচল করলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত উপরোক্ত এলাকার তাপমাত্র হিমাঙ্কের নিচেই থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্ত্রর থেকে জানানো হয়েছে। খবর কালের কন্ঠ।
এসএস/