আওয়ার ইসলাম: মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি বা শীর্ষ ইমাম ফতোয়া জারি করেছেন, বিট কয়েনের কেনা-বেচা ইসলামে নিষিদ্ধ।
শেখ শাউকি আলাম তার ফতোয়ায় বলেছেন, এই ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনে ‘জালিয়াতি এবং প্রতারণার’ সুযোগ রয়েছে, সুতরাং ইসলামে এর লেনদেন নিষিদ্ধ।
হালে বিটকয়েন মুদ্রাবাজারে ব্যাপক ঝড় তুলছে। গত বছর যেখানে একটি বিটকয়েনের মূল্যমান ছিল ১০০০ মার্কিন ডলার। ২০১৭ সালের শেষে এসে সেই মূল্যমান দাঁড়ায় ২০,০০০ ডলার।
অবশ্য তারপর এক সপ্তাহের মধ্যে বিটকয়েন ২৫ শতাংশ মূল্য হারায়। পর পরই বিশেষজ্ঞরা এই মুদ্রার ঝুঁকি নিয়ে হুশিয়ারি দিতে শুরু করেন।
মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি বলেছেন, ডিজিটাল এই মুদ্রার কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান নেই, ফলে এর ব্যবসার সাথে ঝুঁকি জড়িত।
মিশরের দৈনিক আল আহরামকে তিনি বলেন, বিটকয়েন শারিয়া বিরোধী, কারণ এটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিসীম ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
গ্র্যান্ড মুফতির একজন মুখপাত্র মাগদি আশুর ইজিপ্ট টুডে পত্রিকাকে বলেছেন, বিট কয়েন দিয়ে সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানো হচ্ছে।
গত বছর অগাস্ট মাসে মিশরে বিটকয়েন লেনদেনের জন্য এক্সচেঞ্জ বা বাজার চালু হয়।তবে গত মাসে সেদেশের সরকার এই ডিজিটাল মুদ্রাকে নিষিদ্ধ করেছে।
বিটকয়েন কি?
বিটকয়েন একটি বিকল্প ডিজিটাল মুদ্রা। সরকার বা ব্যাংকগুলো বিটকয়েন ছাপে না বা নিয়ন্ত্রণ করে না। কিন্তু কে বা কারা করে- সেটাও অস্পষ্ট।
এটি নোট বা ধাতব মুদ্রার মত এটি পকেট বা পার্সে রাখা যায় না, এটির অবস্থান সম্পূর্ণ অনলাইনে।
এক্সপেডিয়া, অ্যামাজন বা মাইক্রোসফটের মত বড় বড় কোম্পানিগুলোও এখন বিটকয়েনের গ্রহণ করছে।
তবে প্রচুর মানুষ এখন প্রধানত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিটকয়েন কিনে রাখছে।
সুত্র: বিবিসি বাংলা অনলাইন।
এসএস/