আওয়ার ইসলাম: ভারতে কোটি কোটি মানুষ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এদেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্য দেশগুলিতেও বহু মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন।
প্রিয়জনদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষই হোয়াটসঅ্যাপ বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু একসঙ্গে এত বার্তা পাঠানোর চাপে রবিবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী মধ্যরাতে বিশ্বজুড়ে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা।
ফলে সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বার্তা পাঠাতে পারেননি। রাত বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এখন আর কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
হোয়াটসঅ্যাপ যে সময়টা বন্ধ ছিল, তখন বার্তা পাঠানো যাচ্ছিল, কিন্তু সেটা প্রেরকের কাছে পৌঁছচ্ছিল না। অথচ দু’জনের মোবাইল ফোনেই নেটওয়ার্কের কোনও সমস্যা ছিল না। নববর্ষের বার্তা পাঠাতে না পেরে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন।
অনেকেই বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছে। রাত ১২.৪০ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা কিছুক্ষণের জন্য চালু হয়। কিন্তু তারপরেই আবার বন্ধ হয়ে যায়। রাত একটার পর থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ।
এই সমস্যার বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘সার্ভারের সমস্যার জন্যই বিশ্বজুড়ে সাময়িকভাবে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। এখন আর কোনও সমস্যা নেই। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সমস্যার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
হোয়াটসঅ্যাপের সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত পাঁচ মাসে তিন-চারবার হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভার ক্র্যাশের ঘটনা দেখা গিয়েছে। একসঙ্গে অসংখ্য মানুষ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর জন্যই এই ঘটনা ঘটছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এইচজে