শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব

‘মুসলিম সমাজ ধ্বংস করার জন্য তিন তালাক বিল পাশ করা হয়েছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক

মুসলিম স্কলারসদের মতামত উপেক্ষা করে ভারতের পার্লামেন্টে তিন তালাক সংক্রান্ত বিল পাশ করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মুসলিম পার্সনাল ল’ বোর্ড।

আজ নয়া দিল্লিতে মুসলিম পার্সনাল ল’ বোর্ডের মুখপাত্র মাওলানা খলিলুর রহমান সাজ্জাদ নোমানি ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, সরকার মুসলিম জনগণ দ্বারা কারাগার ভর্তি করার জন্য এ বিল পাশ করেছে। এতে মুসলিম সমাজ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।

তিনি বলেন, সরকার যেভাবে তাড়াহুড়া করে বিল পাশ করেছে তাতে সরকারের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। সরকারের উচিৎ ছিলো ন্যায় ও সততার সঙ্গে কাজ করা এবং আইন পাশ করার আগে মুসলিম স্কলার ও আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন ছিলো।

মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি রাজ্য সভাকে আহবান জানিয়েছেন যেনো এ বিল পাশ করা না হয়। তিনি বিলটি নির্বাচিত কমিটির কাছে প্রেরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিয়ে একটি সামাজিক বিষয়। সুতরাং তার সমাধান নিজস্ব উপায়ে সমাধান করতে হবে। ক্রিমিনাল অ্যাক্ট দিয়ে তার সমাধান হবে না।

মাওলানা নোমানি বলেন, আমি বিলের খসড়া পড়ে বিস্মিত হয়েছি যখন দেখেছি শুধু স্ত্রী নয়; ব্যক্তির ব্যাপারে তার প্রতিবেশীও অভিযোগ করতে পারবে এবং তাতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারবে। আর মুসলমানের বিরুদ্ধে পুলিশের আচরণ কেমন তা সবাই।

তিনি এটাকে ন্যায়বিচারের নামে প্রহসন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, আইন মন্ত্রণালয় মুসলিম দেশগুলোর দৃষ্টান্ত দিচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশে তা ক্রিমিন্যাল আইনের অন্তর্ভূক্ত নয়। মুসলিম সমাজকে ধ্বংস করার জন্যই এ আইন করা  হয়েছে।

এ আইনে মুসলিম নারীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন আনবে না ।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ