মোহাম্মদ এ আরাফাত: আজকের একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক লেনদেনের নথি তলব করেছে দুদক।
এর প্রেক্ষিতে বর্তমানে ফারমার্স ব্যাংক নিয়ে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী হতে পারি।
ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন খান আলমগীরের প্রশ্রয়ে এর অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল চিশতী সেখানে শুরু করেছিলেন দুর্নীতির মহোৎসব।
উৎকোচের বিনিময়ে তিনি ঋণ পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন বিভিন্ন গ্রাহকদের, এগুলো পরিণত হয়েছে 'ব্যাড লোনে'। পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যদের অনুমতি তো নেয়াই হয়নি, তাদেরকে ব্যাংকে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি অনেক ক্ষেত্রে।
ফারমার্স ব্যাংকের অগণিত গ্রাহক অর্থাৎ দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা, দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বাসের অমর্যাদা করার দায় মহিউদ্দীন খান আলমগীরকে নিতে হবেG
বিচারের মাধ্যমে বাবুল চিশতীকে যথোপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এটা আমাদের দাবী। শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, ততদিন এসব দুর্নীতিবাজ কোনো ভাবেই পার পাবে না, এ আস্থা আমাদের আছে।
গতকাল রাত পৌনে তিনটার দিকে লেখক তার ফেসবুক পেজে এই স্টাটাস আপডেট দেয়ার পর আরেকটি স্টাটাসে বলেন, বেসিক ও ফারমার্স ব্যাংকে অনিয়মে জড়িত দুই ভাই মাহাবুবুল হক চিশতী ও মাজেদুল হক চিশতী।
মাহাবুবুল হক চিশতী ও মাজেদুল হক চিশতী। সম্পর্কে দুই ভাই। বাবুল চিশতী নামে পরিচিত মাহাবুবুল হক চিশতী ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক। একই সঙ্গে ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানও।
শামীম চিশতী নামে পরিচিত মাজেদুল হক চিশতী একজন ব্যবসায়ী। বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিয়েছেন দ্য ওয়েল টেক্স, আবিদ ডায়িং মিলস লিমিটেড, ওয়েল সোয়েটার্স ও আনাম শকসের নামে।
নতুন অনুমোদন পাওয়া দ্য ফারমার্স ব্যাংকে সম্প্রতি যে অনিয়ম হয়েছে, তার দায় পড়েছে মাহাবুবুল হক চিশতীর ওপর। আর বেসিক ব্যাংকে যে ঋণ অনিয়ম হয়েছে, তাতে নাম এসেছে মাজেদুল হক চিশতীর।
অর্থাৎ ফারমার্স ও বেসিক ব্যাংকের অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন চিশতী পরিবারের এ দুই ভাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে; বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়েও যার সত্যতা মিলেছে।
লেখক: শিক্ষক, ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
এসএস/