আওয়ার ইসলাম, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিদেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যে প্রতিবাদে মঙ্গলবার ওই উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। তবে তা প্রকাশ করা হয় দলের বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে।
নোটিশে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার এই বক্তব্যের জন্য 'নিঃশর্ত ক্ষমা' চেয়ে সংবাদমাধ্যমে তা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে সেটি করা না হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে এতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবে। এরপর কম্বোডিয়া সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে গত ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করে বুধবার বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি জিয়া পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, সেসব অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল। দুঃখজনকভাবে তারা মুখে নানা কথা বললেও অভিযোগ প্রমাণে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই দলীয় অঙ্গীকার অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মঙ্গলবার তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এই আইনি নোটিশ পাঠান। রেজিস্টার্ড ডাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানায় নোটিশটি পাঠানো হয়। এতে খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের সম্পর্কে শেখ হাসিনা যে অভিযোগ এনেছেন তাকে সাজানো, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক আখ্যা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এসব অভিযোগ এনেছেন শেখ হাসিনা। এ অভিযোগ খালেদা জিয়ার প্রতি অবমাননা ও ঘৃণার সৃষ্টি এবং তাকে হাস্যকর করার জন্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এবং নিজের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এ অভিযোগ সাজানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আরও বলা হয়, 'আপনার এই বেপরোয়া ও বিদ্বেষপূর্ণ কটূক্তি একাধারে পরনিন্দা, অপবাদপূর্ণ ও মানহানিকর, যা খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সুনাম, সম্মান, সততা এবং মর্যাদাকে বিনষ্ট করার এবং দেশ-বিদেশে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খাটো করার হীন উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।' সুত্র: সমকাল।
এসএস/