আওয়ার ইসলাম : দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্বকিদ্যালয় ও কলেজগুলো থেকে আগামী দিনের জাতির নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। তাই নেতৃত্ব গঠনের জন্য ডাকসুসহ সকল বিশ্বকিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় তিন দশক পর্যন্ত ঠুনকো কারণে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে।
আজ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার, বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে “ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন উপর্যুক্ত কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জি.এম. রুহুল আমীন বলেন, লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের অস্থিরতা মোকাবেলাস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মেধাবী নেতৃত্ব তৈরি এবং ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
গোলটেবিল বৈঠকে ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মনে করি ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের হল দখলসহ নানা প্রকার অপকর্মের প্রশ্রয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একচ্ছত্র অনিয়মতান্ত্রিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না। তাই ছাত্রদের অধিকার রক্ষা ও জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির জন্য অবিলম্বে ডাকসুসহ সকল বিশ^বিদ্যালয়ে নির্বাচন দিতে হবে।
ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক থেকে নিম্নোক্ত পাঁচদফা দাবি ঘোষণা করা হয় -
১। অতিদ্রুত দেশের সকল পাবলিক বিশ্বকিদ্যালয় ও সরকারি কলেজসমূহে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
২। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইউজিসির ব্যবস্থাপনায় একটি স্বতন্ত্র “ছাত্র
সংসদ নির্বাচন কমিশন” গঠন করতে হবে।
৩। সকল ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৪। ক্যাম্পাসসমূহে ধর্মীয় ছাত্র রাজনীতির ওপর অসাংবিধানিক প্রশাসনিক বিধি-নিষেধ
প্রত্যাহার করতে হবে।
৫। হলগুলোতে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য নিরসন করে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ লতিফ, সেক্রেটারি জেনারেল শাহ ইফতেখার তারিক, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্র লীগ-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এস.এইচ খান আসাদ, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আবদুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহা. কামরুল ইসলাম সুরুজ।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ আল আমিন, ন্যাশনাল স্টুডেন্ট পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহা. রুবেল আহমেদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ হাছিবুল ইসলাম, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, কেন্দ্রীয় বিশ্বকিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ জিয়াউল হক জিয়া, কেন্দ্রীয় স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ ওমর ফারুক ও ঢাবি, জবি, জাবি, চবি, রাবি, ঢাকা কলেজসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাম্পাসের নেতৃবৃন্দ।
আরএম/