আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
সৌদি আরবে নারীদের ড্রাইভিং লাইলেন্স দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সৌদি সরকার। কিন্তু সব সমালোচনা উপেক্ষা করেই আরও বৃহত্তর পরিসরে নারীদের ড্রাইভিং করার অনুমতি দিচ্ছে সরকার।
সবকিছু ঠিক থাকলে জুন ২০১৮ থেকে ড্রাইভিং শুরু করবে সৌদি আরবের নারীরা।
সৌদি সরকার এবার নারীদের হুন্ডা ও ট্রাক চালানোর অনুমতি দিচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে জনমত তৈরি করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে সৌদি আরব।
প্রচারণায় অর্থনৈতিক কল্যাণকেই বড় করে উপস্থাপন করছে তারা।
সৌদি নিউজ এজেন্সি কর্তৃক প্রচারিত এক ছবিতে নারীদের ড্রাইভিংয়ের পেছনে ৭টি অর্থনৈতিক যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
তাহলো,
১. এতে ১.৩ মিলিয়ন বিদেশি ড্রাইভারকে দেশ থেকে বিদায় করা সম্ভব হবে।
২. একজন বিদেশি ড্রাইভারকে গড়ে প্রতি মাসে ১২ হাজার সৌদি রিয়াল পরিশোধ করতে হয়। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বেঁচে যাবে।
৩. সৌদি আরবের ৩৩ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে। যা বিদেশি ড্রাইভারদের দেয়া হয়।
৪. ৮৭.২ ভাগ সৌদি নাগরিকের নিজস্ব ও পারিবারিক গাড়ি রয়েছে। অথচ তা পরিচালনায় বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল।
৫. ড্রাইভাররা যে মেকানিক্যাল অভিজ্ঞতা লাভ করে সৌদি নাগরিকরা তা থেকে বঞ্চিত হয়।
৬. পরনির্ভরতা কমাবে এবং তা অন্যান্য খাতের উপর প্রভাব ফেলবে। যেমন গাড়ির ব্যবস্থাপনার জন্য ড্রাইভার ব্যতীত ভিন্ন গৃহকর্মী রাখে সৌদি আরবের ৬৬.৭ ভাগ নাগরিক।
-আরব নিউজ থেকে অনুবাদ
সৌদি আরবের গাছে গাছে ঝুলছে কম্বল