আওয়ার ইসলাম: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, ভুলে ভরা প্রশ্ন নিয়ে সমালোচনা-প্রতিবাদের ঝড় থামতে না থামতেই এবার প্রশ্নফাঁসের কারণে বাতিল করতে হয়েছে বরগুনার শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শনিবার রাতে ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র। এরপর বাতিল করা হয় বেতাগীর ১৪০টি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে শুরু করে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণীর আজকের গণিত পরীক্ষা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, "প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আসছিল। এরপর আমরা প্রমাণ পেয়েছি। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছিল ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে রোববারের দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়"।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তবে মি. মজিদ জানান, এসব ঘটনায় শিক্ষকরা জড়িত বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। দোষি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই নিয়ে চলতি মাসে চতুর্থ দফায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলো বরগুনাতে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা প্রকট রূপ নেয়ায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয় -ফাইল ফটো।
গত ৯ই ডিসেম্বর বরগুনা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এরপর ১২ ও ১৩ই ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণীর তিনটি বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
সেসময় সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি