শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

সব দোষ মুহতামিমের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাসান সিদ্দিকী: মাদরাসার মুহতামিমদের বদনামের শেষ নেই। সব দোষ তাদের। মুহতামিমরা সব জাহান্নামি! মুহতামিমের অত্যাচারে অনেকে মাদরাসা পড়ানো ছেড়ে দেন। অনেকে দাঁতে কামড় দিয়ে অবিচার সহ্য করে যান।

মুহতামিম উস্তাদ বিদায় করেন। বেতন দেন না। ছুটি দেন না। অতিরিক্ত শাসন করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। সকল সুবিধা নিজে ভোগ করেন। ভাল খাবারের ব্যবস্থা করেন না ইত্যাদি হাজারো অভিযোগ মুহতামিমের দিকে।

যে মাদরাসার মুহতামিমকে আপনি সব দোষ দিচ্ছেন সেখান থেকে বের হয়ে আরেকটা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন তখন দেখেন আপনার শিক্ষকরা আপনার বিরুদ্ধে এই দোষগুলো প্রচার করে কিনা!

অধিকাংশ মুহতামিম কি একসময় কোনো মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন না?! অবশ্যই ছিলেন। শিক্ষক থাকা অবস্থায় তার কাছেও এগুলো সমস্যা মনে হয়েছিল কিন্তু যখন নিজেই পরিচালক হলেন তখন বাস্তববাদী হলেন ফলে তার মাদরাসার শিক্ষকরাও তার সমালোচনা করেন।

যিনি মুহতামিম হন তার জীবনটা সবসময় টেনশন, পেরেশানিতে কাটে। সব সমস্যা তাকেই সমাধান করতে হয়। সব কিছুর ব্যবস্থা তাকেই করতে হয়। মাদরাসার কাজের কারণে তিনি তার পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। ব্যক্তিগত মুতালায়া করার সময় পান না।

বন্ধের সময় সবাই দায়মুক্ত হয়ে চলে গেলেও তিনি যেতে পারেন না। মাদরাসার কাজে থেকে যেতে হয়। আবার চলে গেলেও সর্বদা খোঁজ খবর রাখতে হয়। যে কোন প্রয়োজনে তাকেই চলে আসতে হয়। যত ঝামেলা, যত সমস্যা তাঁরই দূর করতে হয়।

এগুলো কেউ দেখে না। সবাই শুধু মুহতামিমের দোষগুলোই দেখে। মাদরাসার পরিচালনার কাজ যারা করেন তাদের পুরো জীবনটাই জাতির খেদমতে চলে যায়। নিজের জন্য তেমন একটা কিছু করা হয়ে উঠে না। সারা জীবন সব কিছু আঞ্জাম দিয়ে যান। বিনিময়ে সামান্য খ্যাতি লাভ করেন। একটু সম্মান পান।

সব কিছু নিজের মনমত করতে পারেন। এতটুকুই স্বাধীনতা! কিন্তু এর বিনিময়ে জীবনের মহামূল্যবান সময় মাদরাসার জন্য ওয়াকফ করে দিতে হয়।

মুহতামিমরা কিন্তু কোন শিক্ষককের নামে ফেসবুকে শেকায়েত করেন না অথচ করতে চাইলে অনেক বিষয়েই করতে পারেন। সমস্যা, দোষ দুই দিকেই থাকে। কেউই ফেরেশতা নয়। ভুল থাকবেই। কিন্তু কিছু হলেই সব দোষ মুহতামিমের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজে নির্দোষ প্রচার করা অনুচিত।

এতে মাদরাসায় খেদমতের প্রতি নবীনরা অনুৎসাহিত হয়ে পড়বে। উত্তমপেশা শিক্ষকতায় অনাগ্রহী হবে। সর্বউত্তম মানুষ হওয়ার সুযোগ হেলায় নষ্ট করবে।

তাই যদি কোন শিক্ষককের মনে হয়, মুহতামিম সাহেব তার ওপর জুলুম করছেন তাহলে তার জন্য উচিত হল, ঐ মাদরাসা থেকে বের হয়ে নিজে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা করা।

তারপর আশা করি তিনি বুঝবেন 'কত ধানে কত চাল' এবং 'কুল্লু মুহতামিম ফিন্নার' না বলে 'কুল্লু মুহতামিম ফিল জান্নাহ' বলবেন।

মায়ের দু‘আ আমাকে কাবা শরীফের ইমাম বানিয়েছে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ