শাহনূর শাহীন
সাব এডিটর
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের কতো ইতিহাসই-না আমাদের এখনো অজানা। ৭১-এ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জুলুম নির্যাতন প্রতিরোধে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে দলমত, জাতি-ধর্ম , বর্ণ নিবিশেষে সর্বশ্রেণির মানুষ স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।
কামার-কুমার, কৃষক, জেলে, ছাত্র-শিক্ষক, আলেম-ওলামা সর্ব শ্রেণির মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য। সে সময় রাজনৈতিকভাবে অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান করে জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো।
অখণ্ড পাকিস্তানের সমর্থনে উপমহাদেশের কিছু বুজুর্গ আলেমও দেশ ভাগের পক্ষে ছিলেন না। তাদের অনুসরণে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের মধ্য থেকেও কেউ কেউ এটাকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকে কখনোই সমর্থন করেননি।
পশ্চিমাদের নৃশংসতা অবলোকন করে কেউ কেউ পূর্বের অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। তাছাড়া সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম অধিকাংশই ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের।
দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এমন আলেমও ছিলেন যারা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। রেখেছেন অসামন্য অবদান। এমনকি স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক পর্যায়েও মূখ্য ভুমিকা পালন করেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে বীরত্বের সাথে।
৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের অবদান নিয়ে বিজয়ের মাসে আওয়ার ইসলামের ধারাবাহিক আয়োজন ‘মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভুমিকা’য় এবারের আয়োজনে আমরা জানবো সিলেটের এমনই দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা আলেম সহোদর আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী এবং মাওলানা উবাইদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী’র গল্প।
একসঙ্গে দুই ভাই মাওলানা উবায়দুল্লাহ এবং আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঐতিহাসক ৬দফা দাবি উত্থাপন করেন তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর সাথে সংগ্রামের পথে পথ চলা শুরু হয় মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী’র। শেখ মুজিব ৬দফা দাবি উপস্থাপনের পর অনেকেই সেটাকে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা শুরু করে। তখন মাওলানা জালালাবাদীই প্রথম ৬দফার পক্ষে প্রকাশ্যে কলম ধরেন।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে বঙ্গবন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করেন ৬দফায় ইসলাম বিরোধী কিছু আছে কিনা। তখন মাওলানা জালালাবাদী বলেন, ৬দফার মাধ্যমে আপনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির দাবি তুলেছেন এটাতো ইসলামের পরিপন্থী নয়ই বরং সহায়ক। কেননা ইসলাম ন্যায়ের ধর্ম। কাউকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে শোষণ করার পক্ষে ইসলাম নেই। সুতরাং ৬দফা ইসলাম বিরোধী নয়।
এরপর মাওলানা জালালাবাদী বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ও পরামর্শে সিলেটের মাওলানা ওলিউর রহমানকে সভাপতি করে ‘আওয়ামী ওলামা পার্টি’ গঠন করেন। এছাড়াও ‘ইসলামী বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করে তার মাধ্যমে ৬দফার সমর্থনে ‘শরীয়তের দৃষ্টিতে ৬দফা কর্মসূচি’ নামে বই লিখে হাজার হাজার কপি করে তা সর্বসাধারণের মাঝে বিলি করা হয়।
আজকের বিশ্বস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের শুরুটাও হয়েছিলো এই মাওলানা জালালাবাদীর কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজার জিয়ারতকালে বঙ্গবন্ধুর সাথে মাওলানা জালালাবাদী
২৫ শে মার্চের কালো রাত্রিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী নেতৃত্বসহ গোটা বাংলাদেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। বর্বরতার সেই রাতে ৫১নং পুরানা পল্টনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মাওলানা জালালাবাদী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের পর মৃত্যুমুখে দাঁড়িওে সারারাত ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসা ফোন কল রিসিভ করে প্রতিবাদ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা সেদিন এই মাওলানাই দিয়েছিলেন।
২৬ মার্চ সকালে যখন আওমীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয় তখন অফিসের পেছনে টয়লেটের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখে জীবন রক্ষা করেন মাওলানা জালালাবাদী।
তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর স্বাধীনতার পক্ষে মুসলিম বিশ্বের সর্মন আদায়ের লক্ষ্যে মাওলানা জালালাবাদীকে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব ও মিশরে অস্থায়ী সরকারের বিশেষ দূত করে পাঠাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় বিকল্প হিসেবে ‘সার্টিফিকেট অব আইডেন্টিটি’ তৈরি করার প্রয়োজন হয়। ভারতীয় সংশ্লিষ্ট দফতরে সেটা করতে গিয়ে পদ্ধতিগত জটিলতায় দেরি হওয়ায় আর তা হয়ে উঠেনি।
পরবর্তীতে অস্থায়ী সরকারের মুখপাত্র হিসেবে যখন দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে সম্মুখ সমরে না গিয়ে বেতারে ইসলামী প্রোগ্রাম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী।
বেতারে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা, বিভিন্ন ইসলামি প্রোগ্রাম পরিচালনা করা এবং তাতে ধর্মী দৃষ্টিকোন থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করাই ছিলো তার প্রধান দায়িত্ব।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী
মাওলানা জালালাবাদীর পরামর্শেই শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম ইসলামী একাডেমি ও বায়তুল মোকাররম মসজিদকে একত্র করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে রুপান্তর করেন।
মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী। উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীর আপন বড় ভাই। তার সহযোগিতাতেই ছোট ভাই উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পেরেছেন। প্রতক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সিনিয়র জালালাবাদীর ভুমিকাও নেহায়াত কম ছিল না।
২৫ মার্চের কালো রাত্রির পর জুনিয়র জালালাবাদী বেশ কিছুদিন ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন। ৪ এপ্রিল যখন তিনি বাড়িতে যান ততক্ষণে পাড়ায় মহল্লায় উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীর নাম ডাক ছড়িয়ে গেছে। বাড়িতে পৌঁছার সাথে সাথেই চতুর্দিক থেকে লোকজনের ভিড় জমতে থাকে জালালাবাদী পরিবারের বাড়িতে। সবাই জুনিয়র জালালাবাদীর মুখে শুনতে চায় ঢাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি।
এদিকে এলাকায় খবর রটে গেছে উবায়দুল্লাহ জালালাবাদী ঢাকা থেকে এসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে এলাকাবসীকে ক্ষেপিয়ে তুলছেন। কেউ যদি পার্শ্ববর্তী আখালিয়া আর্মি ক্যাম্পে এ খবর পৌঁছে দেয় তাহলে আর নিস্তার নেই। সঙ্গত কারণেই মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ছোট ভাই উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীকে নিয়ে নানু বাড়ি চলে যান।
সেখান থেকে তারা বৃদ্ধ মামা নাসরুল্লাহ’র সহযোগিতায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পৌঁছেন। ঢাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি ভারত সরকারকে জানানোর অভিপ্রায়ে দুই সহদোর ভীষণ কাঠখড় পোহান। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপও করেন সিনিয়র জালালাবাদী নিজেই। পরিচয় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতায় দিল্লি পৌঁছতে তাদের সেই সময়ের তুলনায় বেশ লম্বা সময় লেগে যায়।
এরই মধ্যে ঢাকার পরিস্থিতি এক আইনজীবির বরাতে ইন্ডিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে এবং ১০ই এপ্রিল তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতি করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। দুই সহোদর দিল্লি পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জুনিয়র জালালাবাদী কলকাতায় স্থাপিত ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের’ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এরপর বৃদ্ধা মামাকে নিয়ে পুনরায় বাড়ি ফেরেন মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী। এ যেন শত শত মাইলের কাঠখড় পুড়িয়ে নিজের জিম্মায় ছোট ভাইকে রণাঙ্গনের সেনাপ্রধানের হাতে তুলে দেয়া। বাড়িতে ফিরেও পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে সিনিয়র জালালাবাদীকে।
কেননা, এলাকায় রটে গিয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জুনিয়র জালালাবাদীর যতো প্রকাশনা আছে তার সবই সিনিয়র জালালাবাদীর লেখা। তাছাড়া ভাইকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার ঘটনা লুকিয়ে রাখা সম্ভব ছিল না কিছুতেই।
বাড়িতে ফিরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সীমান্ত এলাকার প্রায় ২৮টি গ্রামের যৌথ উদ্যোগে আযোজিত কুরআন খতম ও দোয়ায় ২৫ থেকে ৩০ জন আলেমের মজলিশে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সিনিয়র জালালাবাদীর বক্তব্য ছিলো চরম সাহসিকতার পরিচায়ক।
যুদ্ধ চলাকালীন আগস্ট মাসে বীর সহোদরের গর্বিত পিতা মো. সাঈদুল্লাহ ইন্তেকাল করলে সিনিয়র জালালাবাদী তার পিতার মৃত্যুুর সংবাদ পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করেন। কারণ তিনি জানতেন পিতার মৃত্যুর খবর ছোট ভাইকে জানাতে হলে তাই করতে হবে। কেননা চিঠি পাঠালে তা পৌঁছতে সময় লেগে যাবে এক থেকে দেড় মাসেরও অধিক।
ফলশ্রুতিতে কলকাতায় অবস্থান করা জুনিয়র জালালাবাদী পত্রিকা মারফতই বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন। কিন্তু বাবার মৃত্যর পরেও দুই ভাই সামান্যতম ভেঙ্গে পড়েননি। প্রাণপনে লড়ে গেছেন দেশমাতৃকার তরে।
দুই সহোদর জালালাবাদীর আপন চাচা মাওলানা আব্দুর রশিদ ছিলেন তৎকালীন মুসলিম লীগের নেতা। তার নেতৃত্বেই গণভোটের মাধ্যমে আসাম থেকে মুক্ত হয়ে সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলো। তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পতাক উড়িয়ে সিলেটকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করেন।
সেই মাওলানা আব্দুর রশিদের ভাতিজা হয়ে অল্পদিনের ব্যবধানে স্রোতের বিপরীতে থেকে প্রত্যক্ষভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ছিলো চরম বীরত্বপূর্ণ ঘটনা।
এজন্যই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দুই ভাইকেই সমান মূল্যায়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সিনিয়র জালালাবাদীর পরামর্শেই স্বাধীন বাংলাদেশের বেতারে সর্ব প্রথম নিয়মিত কুরআন তেরাওয়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
সত্য কখনো চাপা দিয়ে রাখা যায় না। ইতিহাসে এরকম হাজারো আলেম মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বপূর্ণ কাহিনী চেপে রাখা হয়েছে কোনো এক অদৃশ্য কারণে। কিন্তু সত্য সর্বদা উন্মোচিত। আক্ষেপ ভুলে সত্য উদ্ঘাটনে আমাদেরকে ইতিহাসের পিছু নিতে হবে। ওলামায়ে কেরামের উত্তরসুরি হিসেবে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা যারা নিজেদেরকে ওলামায়ে কেরামের উত্তরসুরি মনে করি বা দাবি আমাদের সকলকেই ইতিহাস চর্চা আত্মনিয়োগ করতে হবে। অদৃশ্য কালো থাবায় নিমজ্জিত ইতিহাস তুলে ধরে আমাদেরই সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রয়োজনে আবারও আমাদেরকে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা সাজতে হবে।
তথ্যসুত্র: ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে’ উইকিপিডিয়া বাংলা, স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্র এবং ইন্টারনেট।
(৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের অবদান নিয়ে বিজয়ের মাসে আওয়ার ইসলামের ধারাবাহিক আয়োজন ‘মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভুমিকা’য় মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায় জানতে চোখ রাখুন আমাদের পরবর্তী আয়োজনে।)
পড়ুন আগের পর্ব: মুক্তিযুদ্ধে হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর ভূমিকা কী ছিলো?
আরআর