ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছে কোনো নারীর জন্য তার স্বামীর ধর্ম গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক নয়। তাই কোনো নারী যদি অন্য কোনো ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করেন, তাহলে বিয়ের পর ওই নারীকে স্বামীর ধর্ম গ্রহণ করার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
এক পার্সি নারীর অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করার এক মামলায় এই রায় দেয়া হলো।
পার্সি রীতি অনুযায়ী, কোনো পার্সি নারী যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরুষকে বিয়ে করেন, তাহলে তিনি আর পার্সি ধর্মাবলম্বী থাকবেন না।
এমনকি, ওই নারীর বাবার শেষকৃত্যে হাজির থাকতে পারবেন না। এমনটাই ঘটেছিল গুলরথ এম গুপ্ত নামে এক পার্সি নারীর সঙ্গে। ২০১০ সালে গুজরাট হাইকোর্ট পার্সিদের এই আইন বহাল রাখে।
তিনি এক হিন্দুকে বিয়ে করেছিলেন। তারপরে নিজের বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন।
পরে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন গুলরথ।
সেই মামলার শুনানিতে আজ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি এ এম খানবিলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অশোক ভূষণের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, ‘আইনে কোথাও এমন বলা নেই, একজন নারী অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করলে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় হারাবেন।
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বলা হয়েছে, দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিয়ে করে নিজেদের ধর্ম বজায় রাখতে পারেন। একজন পুরুষ যদি অন্য ধর্মের নারীকে বিয়ে করে নিজের ধর্মীয় পরিচয় বজায় রাখতে পারেন, তাহলে একজন নারীকে অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করে নিজের ধর্ম বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাধা নেই।’
সূত্র: ইন্টারনেট