নাজনিন আক্তার হ্যাপী
আফ্রিকা থেকে মাস্তুরাতের জামাত এসেছে আমাদের এলাকায়। আজকে নুসরতে গেলাম আম্মু, আমি আর ভাই আলহামদুলিল্লাহ! কিতাবের তালিমে উনাদের একজন করছিলেন তাদের ভাষায় আর বাঙ্গালি একজন অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন।
তারপর শুরু হলো বয়ান। প্রথমে জামাতের পুরুষদের পক্ষ থেকে একজন বয়ান করলেন তাদের ভাষায় তারপর আবার এলাকার এক সাথী ভাই বয়ান করলেন মাশাআল্লাহ! (সাউন্ডবক্সের মাধ্যমে আমরা সবাই শুনে থাকি, পুরুষেরা মসজিদ বা অন্য ফ্ল্যাট থেকে বয়ান করেন)।
আফ্রিকানদের কথা তো কিছু বুঝি না কিন্তু নূরানি সব কথা শুনেছি এই কথার তাছির অবশ্যই পড়বে ইনশাআল্লাহ! এবং না বুঝলেও এর ফল আমরা পাবোই ইনশাআল্লাহ! এতদূর সফর করে দাওয়াতের কাজে এসেছেন তারা ঘর, সংসার ছেড়ে।
কত দামি কাজে তারা এসেছেন এবং এই কাজ এমনই কাজ যারা করেন তাদের সবাইকে আল্লাহ দামি করে দেন। সম্মানীত করে দেন।
তারপর তাশকিল হলো, দোয়া হলো, কি যে শান্তি আলহামদুলিল্লাহ!কিন্তু কষ্টও লাগছিল খুব! ইশ নিজের নাম লেখাতে পারলাম না নগত জামাতে বের হওয়ার জন্য। কাছের মাহরাম যে নেই আমার! আল্লাহ তায়ালাকে বলি সব। উনি নিশ্চয় আমার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ! এই মেহনত তারাই করতে পারে যাদের দিয়ে আল্লাহ করান।
বয়ান থেকে একটা ঘটনা বলি কম বেশি এরকম, এক ছোট বাচ্চাকে এক মা একিনের শিক্ষা যেভাবে দিলো। এক মা তার বাচ্চাকে নামাজ শেখানোর জন্য বললেন- নামাজ আল্লাহর হুকুম, পালন করলেই আল্লাহ ভাল ভাল খাবার দেয়।
তুমি প্রতি ওয়াক্তে নামাজ পড়ে দেখবে খাবার রাখা আছে। তার মা খাবার রেখে দেন, আল্লাহর হুকুম মানার আগ্রহ আসার জন্য। ছেলে প্রতিদিন নামাজ পড়ে আর খাবার পায় তার বিশ্বাস হয়ে গেল আল্লাহর হুকুম মানার জন্য আল্লাহ উত্তম রিযিক দান করেন।
একদিন মা কোথায় যেন গেলো। মা তো এবার চিন্তায় পড়ে গেল আজ তো খাবার রেখে আসিনি! তারপর যখন বাড়িতে ফিরে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার খানাদানার কী খবর? ছেলে উত্তর দিলো, আজকে আমি যেই খানা খাইছি, এমন খানা এর আগে কোনোদিন খাইনি!
সুবাহানআল্লাহ! আল্লাহ পাক গায়েব থেকে খানার ব্যবস্থা করলেন। বিশ্বাসের কারণে।
এটা দ্বারা কি শিক্ষা পেলাম আমরা? আল্লাহর উপর আমরা যেমন ধারণা রাখি, আল্লাহ পাক আমাদের সাথে তেমন আচরণ করেন।এবং একিনের সাথে যেটাই করিনা কেন আল্লাহ তাতে বরকত এবং কামিয়াব করেন।
আমাকে জ্ঞান দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন: হ্যাপী