নাজনীন আক্তার হ্যাপী: আমরা যেভাবে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াই,এভাবে যদি নিজের দোষ খুঁজে বেড়াতাম তাহলে উম্মতের অনেক ফায়দা হতো! সকল ধরনের পন্ডিত আপুরা আমাকে জ্ঞান দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আমাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত কয়েকজন মুরুব্বী যারা আসলেই বুযুর্গ এবং প্রকৃত জ্ঞানী উনাদের সহবতে থাকার তৌফিক দান করেছেন। নিজের জ্ঞান বিজ্ঞান আমার উপর ফলানোর চেষ্টা না করলেই খুশি হবো।
কথাগুলো একটু শক্ত শোনাচ্ছে? কি করব বলুন! ভদ্রতার খাতিরে এতকাল শুধু হেসে উড়িয়ে দিয়েছি এবং মুখের উপর বলতে পারিনা, আমি দুধের শিশু না। এজন্য অনেকেই আমাকে শুধু কি করব না করব সেটা বলতে আসে। সবকিছুর লিমিট থাকা উচিত। নইলে নিজের সম্মান নষ্ট করার জন্য নিজেই দায়ী থাকবেন। যেমন এসব করার কারণে আপনাকে/আপনাদের মন থেকে আর সম্মান করতে পারবো না।
এসব যারা করেন, তারা নিজেকে ১০০% ঠিক এবং অন্যকে ১০০% ভুল এবং “কম বুঝে” এরকম মনে করেন। আর পান্ডিত্য জাহির করায় উস্তাদ থাকেন। হয়তো এমন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে, বুঝেই আসে না কোনটা কোথায় কিভাবে বলা উচিত।
আরেকটা কথা, আমাকে মহীয়সী কেউ ভেবে চরম ভুল করবেন না। আমি অতি নগন্য এক পাপী বান্দা। তাই আমার থেকে বিশেষ কিছু আশা না রাখার অনুরোধ রইলো। কে কিভাবে আল্লাহকে পেল তা শেষ বিচারের দিন বোঝা যাবে।
আমাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা করে গল্প বানিয়ে, গীবত অপবাদ এসব করে নিজের আমল আমাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য জাযাকাল্লাহ খায়ের। নিজের আমলে পার হতে পারব সেই আশা করার সাহস নেই। আপনাদের আমল পেয়ে যদি পার হতে পারি! শুকরিয়া। এত্ত কিউট আপনারা! লাভ ইউ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)