ইন'আমুল হাসান ফারুকী
হাটহাজারী
পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্কে শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, পোপ ফ্রান্সিস খ্রিস্টান ধর্মের দাওয়াত বা বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে সফর করেছেন, যেন বাংলাদেশে খ্রিস্টান ধর্মের দাওয়াত দিতে পারে অবস্থানরত খ্রিস্টানরা সেই বার্তা বা মিশনারি নিয়েই তো তিনি আগমন করেছেন। তাহলে তাকে কিভাবে অভ্যর্তনা বা স্বাগত জানাতে পারে আলেম সমাজ।
পশ্চিম জাহানপুর বিবিরদিঘী ঈদগাহ ময়দানে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি খুব ব্যতীত কণ্ঠে বলেন, যারা ইসলাম বা মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু বা দুশমন, আমরা মুসলমান হয়ে কিভাবে তাদের প্রশাংসা করতে পারি বা তাদের স্বাগত জানাতে পারি!!
তিনি আরো বলেন, খ্রিস্টান পোপের সাথে বৈঠক হতে পারে বা করতে পারেন, তবে শর্ত হল, তাকে দাওয়াত দিয়ে আপনি বলুন, ভাই আপনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন, শান্তি ও রক্ষা পাবেন, আর এমনটাই ছিল হযরত রাসুল সা. এর আদর্শ বা নমুনা।
রাসুল সা. কখনো ইহুদি বা নাসারা তথা অমুসলিমদের প্রশাংসা করেনি। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, হে রাসুল সা. তারা আপনার বন্ধু নয়, বরং তারা একে অপরের বন্ধু।
এখন যেভাবে পোপকে স্বাগত জানানো হচ্ছে ও তার প্রশাংসা করা হচ্ছে, এর ফলে বর্তমান অবস্থানরত খ্রিস্টানরা নিজেদের মধ্যে সাহস যোগাচ্ছে আর স্বপ্ন দেখছে দেশটা হাতে নেয়ার।
অন্যদিকে সরলমনা মুসলিমরা জাতির তথা ধর্মের অভিভাকদের এই অবাস্থা দেখে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্যে পার্থক্য করতে না পেরে তাদের দাওয়াত সহজভাবে গ্রহণ করবে।
তাই বলছি, আপনারা জাতির বা ধর্মের রাহবার হয়ে যা করছেন, তা কখনো কাম্য নয়, বড়ই দুঃখজনক।
মনে রাখবেন, আজ যদি এই কৃতকর্মের কারণে ইসলাম বা মুসলমানদের কোন ক্ষতি হয়, আপনারা ইসলাম বা মুসলানের অভিভাবক বলে পরকালে তার দায়ভার আপনাদেরই বহন করতে হবে।
সম্প্রতি পোপকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করতে গিয়ে তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে। তার দরদমাখা বয়ান উপস্থিত ছাত্রদের হৃদয়ে দাগ কাটে।
বয়ানের সারমর্ম ছিলো, পোপকে মেহমান হিসেবে মেহমানদারি করা যেতে পারে। যতটা সম্মান ও মর্যাদা রাষ্ট্র ও তার সরকার করেছে তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। উপরন্তু একজন মাওলানা তাকে নিয়ে মুনাজাত করেছেন। হায় আফসোস! এটা কি মুসলিম উম্মাহর জন্য অসম্মানী নয়?
আরো কিছু সার্থলোভী মৌলবিও তাদের এজেন্ট বাস্তবায়নে ব্যস্ত আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকায় ‘রোহিঙ্গা’ বলায় মিয়ানমারে তীব্র সমালোচনা পোপের