জহির বিন রহুল,সুনামগঞ্জ: বন্যার প্রাদুর্ভাব হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষায় ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার।
বন্যার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে নদী খনন প্রকল্পে বিশাল বরাদ্দ হাওরের ফসল রক্ষায় বিরাট অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬ টি নদীর ৯৮ কিলোমিটার অংশ খননের জন্য ২৩০ কোটি টাকার এ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।৬টি নদীর মধ্যে রক্তি, জাদুকাটা ও আপার বৌলাই নদীর খনন কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাকি নদীর খনন কাজও শীঘ্রই শুরু করা হবে।
বর্ষায় জোয়ারের সাথে ভেসে আসা পলি মাটিতে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি ধারণ করে ভাটিতে নামিয়ে দিতে জেলার নদীগুলো কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ প্রায় বছর হাওরের বোরো ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়। গত বোরো মৌসুমে জেলার শতভাগ বোরো ফসল বিনষ্ট হওয়ার প্রেক্ষিতে অকাল বন্যা রোধে ফসল রক্ষা বাঁধের পাশাপাশি নদী খননের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে সামনে উঠে আসে। সরকারের নীতি নির্ধারকরাও নদী খননের বিষয়ে একমত হন। এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খননের একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করায়।
এলাকাবাসীর আশা নদী খনন প্রকল্প তাদের উপকারে আসবে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং পূর্ণ বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওরবাসী এর সুফল ভোগ করতে পারবে।
নদী খননের ফলে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ মাটি ব্যবহার সম্পর্কেও কর্তৃপক্ষের পূর্ব থেকেই সঠিক পরিকল্পনা থাকা উচিৎ বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ। নদী খননের মাধ্যমে উত্তোলিত মাটি দিয়ে সহজেই বিভিন্ন বাঁধ ও সড়ক উঁচুকরণের কাজ সমাধা করা যাবে। কিন্তু উপযুক্ত পূর্বপরিকল্পনা না থাকলে এই মাটি জনস্বার্থে কোন কাজে না লেগে বিশেষ কোনো চক্রের স্বার্থ রক্ষা করবে।
পরিকল্পনার অভাবে নদী খননের ঠিকাদার মাটি কোথায় ফেলবেন এ নিয়েও জটিলতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য স্থানীয় জনগণের আশা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করবে।
এসএস/