অনলাইন ডেস্ক: নির্মিত হচ্ছে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ. জামে মসজিদ। দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক নির্মিত পরিবেশবান্ধব সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এই মসজিদটি হবে আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ।
এই মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, একসঙ্গে ৭০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করতে পারবে এবং এতে থাকবে সার্বক্ষণিক কোরআন তেলাওয়াতের সুব্যবস্থা। রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে পরিবেশবান্ধব এ মসজিদ হবে দেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ। সম্পূর্ণ নিজস্ব পরিকল্পনা ও বসুন্ধরার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে এই মসজিদ।
এই দৃষ্টিনন্দন দেশের সবচেয়ে বড় মসজিদটি নির্মাণ করছে দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে দ্বিতীয় পার্টে এর অবস্থান। মসজিদের নাম দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আবদুর রহমান (র.) এর নামে ফক্বিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান জামে মসজিদ।
মূলত আবাসিক এলাকায় একাধারে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করার চিন্তা থেকেই বানানো হচ্ছে মসজিদটি। আর এই মসজিদ হবে দৃষ্টিনন্দন ১০ তলাবিশিষ্ট। যার প্রতি তলায় ৭ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। এই মসজিদের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বর্তমানে মসজিদটি নিচ তলায় নামাজ আদায় করার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদের প্রতি তলায় ৭ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মো. সফিউল্লাহ। এই মসজিদ এক নজর দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শুক্রবার দিন মুসল্লিদের ভিড় জমে নতুন এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে।
৮ বিঘা জমির ওপর ১০ তলাবিশিষ্ট এই মসজিদে একসঙ্গে ৭০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অজুখানাসহ মসজিদের সব রকম সুবিধা থাকবে এখানে। উন্নতমানের টাইলস এই মসজিদের শোভা বাড়িয়ে দেবে অনেকখানি। মসজিদে থাকবে ১২০ ফুট উচ্চতার একটি সুদৃশ্য মিনার, যা তৈরি হবে কষ্টিপাথর দিয়ে। শুধু তাই নয়, মসজিদে থাকবে ৪টি চলন্ত সিঁড়ি। পাশাপাশি চারপাশেও থাকবে নরমাল সিঁড়ি। যা দিয়ে উপর তলায় ওঠানামা করা যাবে অতি সহজে। মসজিদের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি বড় গম্বুজ। যা মসজিদের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করবে।
মসজিদের প্রতি তলায় ৫০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গা রয়েছে। এই মসজিদে রয়েছেন একজন পেশ ইমাম ও একজন খতিব। মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি সফিউল্লাহ জানান, প্রতি তলায় নামাজের কাতার হবে ৪৫টি। যা ইতিমধ্যে নিচ তলায় সম্পন্ন করা হয়েছে। যার প্রতি কাতারে ২০০ জন মুসল্লি দাঁড়াতে পারবেন। তিনি আরও জানান, একেক তলায় ৫০০ থেকে ৫৫০টি ফ্যান থাকবে। তবে মসজিদটি সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। মসজিদের তিন পাশে আলাদা বারান্দাও রয়েছে। সামনের অংশের দুই পাশে থাকবে মুসল্লিদের অজুখানা। তিনি জানান, বর্তমানে মুফতি নূর মোহাম্মদ নামে একজন খতিব রয়েছেন মসজিদে। শুধু তাই নয়, মসজিদের সামনেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা। মাদ্রাসার ভবনও নির্মাণাধীন। যাতে বর্তমানে হেফজখানা চালু আছে। আর এই মাদ্রাসায় ১২০০ ছাত্র একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবে।
বর্তমানে নির্মাণাধীন মসজিদটির প্রথম তলায় নামাজ আদায়ের পুরো ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। মসজিদের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, একই কমপ্লেক্সে মসজিদের পাশাপাশি কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণ করা হবে। শিগগিরই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পুরো বসুন্ধরা এলাকায় আরও ৫০টি মসজিদ নির্মাণের জায়গা রাখা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা আবু তৈয়ব জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্মিতব্য মসজিদটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন। যাতে সার্বক্ষণিক কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
এসএস/