করপোরেট দুনিয়ায় বসের সন্তুষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বসের সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। কিন্তু বস যদি রাগী হন? তাহলে কিভাবে সন্তুষ্ট রাখবেন তাকে। জেনে নিন সে কৌশল।
হাসিমুখ বজায় রাখুন
বস যদি অতিরিক্ত কাজের চাপও দেন, সেই কাজও হাসিমুখে গ্রহণ করুন। ফলে এক সময় আপনার প্রতি বসের সহানুভূতি তৈরি হবে। বিষয় করা কোনোভাবে সম্ভব না হলে সাথে সাথে তা নাকচ না করে সময় নিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলুন।
সমস্যার সঙ্গে সমাধান দিন
কোনো একটি বিষয়ে সমস্যার সঙ্গে তার সমাধানের উপায়ও খুঁজে বের করুন। সমাধানের সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে বসের সঙ্গে আলোচনা করুন। কারণ সমাধান ছাড়া শুধু সমস্যার কথা বললে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।
মাথা ঠাণ্ডা রাখুন
অফিসে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো ঘটনায় নিজের মাথা সব সময় ঠাণ্ডা রাখুন। বসরা সব সময় সেই কর্মীদেরই পছন্দ করেন, যারা খুব বিগড়ে যাওয়া পরিস্থিতিতেও ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে পারেন। এ ধরনের কর্মীদের ওপর বসরা বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
সহকর্মীদের বদনাম করা থেকে বিরত থাকুন
কাজের বাইরে সহকর্মীকে নিয়ে অন্য কোনো আলোচনা করবেন না বসের সঙ্গে। বস যদি সহকর্মীদের সম্পর্কে জানতে চান, তবে বুদ্ধি করে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। যদি ভালো কথা বলতে ইচ্ছে না হয় তো বলবেন না, তবে সহকর্মীর নামে খারাপ কথা বলবেন না।
সময়ের প্রতি খেয়াল রাখুন
অফিসে দেরি করে যাওয়া অনেক নেতিবাচক বিষয়ের জন্ম দেয়। পাঁচ-দশ মিনিট দেরি হওয়া নিয়ে কেউ কিছু মনে করেন না কিন্তু তার বেশি দেরি করে অফিসে ঢোকা কোনো কাজের কথা নয়। দুই-একদিন দেরি করে এলে কিছু হবে না। কিন্তু মাসের বেশিরভাগ দিনই দেরি করে ঢুকলে বস মুখে কিছু না বললেও মনে রেখে দেবেন।
বসের প্রশংসা করুন
তোষামোদ নয়, বরং বুঝেশুনে বসের প্রশংসা করুন। তোষামোদ ও প্রশংসার মধ্যে পার্থক্য আছে। বেশি বেশি করে বসের সামনে তার গুণগান করলে বস বুঝতে পারেন আপনার আসল উদ্দেশ্য কী। সে ক্ষেত্রে বস আপনাকে এড়িয়ে চলতে পারেন। তাই বুঝেশুনে বসের প্রশংসা করুন।
বসের আগে প্রস্থান নয়
বসের মন জয় করা খুব সহজ বিষয় নয়। এ জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মিটিংয়ে বসের আগে স্থান ত্যাগ করা অভদ্রতা। বস এসব লক্ষ্য করতে পারেন। তাই মিটিং কিংবা অফিস যা-ই হোক বসের পরেই প্রস্থান করুন।
সূত্র : সমকাল