আওয়ার ইসলাম: আবুজর গিফারী কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায় গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় রাজধানীর মালিবাগস্থ আবুজর গিফারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার সাঈদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তারই অনুসারী কিছু কর্মী এবং সাধারণ ছাত্ররা তাকে মারধর করে।
বেলা বারোটায় দেলোয়ার সাঈদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রিত রুমে প্রবেশ করার পর ভর্তি বানিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে তার বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মী এবং সাধারণ ছাত্ররা মিলে তাকে মারধর করে।
সাধারণ ছাত্রদের অভিযোগ সে মাদকাসক্ত ছিল এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। মারধরের উদ্দেশ্যে ছাত্রছাত্রীদের দিকে তেড়েও আসছিল এজন্য ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষেপে উঠে এবং তাকে মারধর করে।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবারও সারাদিন কলেজে ক্যাম্পাস ছিল উত্তপ্ত। ছাত্রছাত্রীদের আশঙ্কা যে কোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেলোয়ার সাঈদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে ভর্তি বানিজ্যসহ নানা অপরাধে যুক্ত ছিল। গত ৩০ জুলাই ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি শাহরিয়ার ফাহাদকে সভাপতি ও দেলোয়ার সাঈদকে সেক্রেটারি করে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে। সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়ে দেলোয়ার সাঈদ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, পরীক্ষার হলে তার পরিচিতদের গার্ড দেয়া যায় না। তাদের অবৈধ সুবিধা দিতে হয়। তা না হলে শিক্ষকদের নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিত দেলোয়ার সাঈদ। কিছুদিন আগে ২০১৩-১৩ সেশনের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অনৈতিক কাজের দায়ে তার এক অনুসারী আব্দুস সাত্তারকে পুলিশ গ্রেফতার করে পরে দেলোয়ার তাকে ছাড়িয়ে আনে।
ছাত্রছাত্রীরা জানায়, এর আগে এক ছাত্রীর কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য ২১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় এবং ফরম পূরণ করতে না পেরে ঐ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটি তাকে কলেজ ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কলেজ থেকে বের করে দেয়। সম্প্রতি ঘোষিত নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে পুনরায় কলেজে ফিরে আসে।
এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।