মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: ২৩ নভেম্বর উত্তরা ১৩নং সেক্টর যুব সমাজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর উত্তরার সম্মাণিত উলামায়ে কেরামগণের মধ্যমণি প্রখ্যাত মোফাচ্ছির-এ-কুরআন, কথা সাহিত্যিক- শায়খুল হাদীস আল্লামা নাজমুল হাসান।
বিকাল ৩টা হতে শুরু হওয়া দীর্ঘ ৭ঘন্টাব্যাপী চলমান এই মনোজ্ঞ জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরার রাজনীতিবীদগণসহ সর্বশ্রেণির ব্যক্তিবর্গরাও।
এসময় সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরব শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা সহ একাধিক কন্ঠশিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও উপস্থাপক রাকিব রায়হান।
অন্যদিকে চমৎকার সব সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিল্পী খন্দকার আব্দুর রশিদ, কাওসার মাহমুদ, সাইফুদ্দিন আল মামুন, আনিসুর রহমান, হাফেজ আঃ মান্নান, আব্দুল্লাহ আল সাকিব, সাফিন আহম্মেদ, শামিম আরমান, আহনাফ খালিদ, জিহাদুল ইসলাম, ফজলে এলাহী সাকিব সহ দেশবরেণ্য শিশু শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানটির শুরুতেই পবিত্র কুরআনুল কারীমের তিলওয়াত পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত হাফেজ ক্বারী মাওলানা আনাস বিন আনোয়ার, আন্তর্জাতিক ক্বারী মাওলানা লুৎফর রহমান ও হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম সহ অনেকেই।
সর্বশেষ উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির প্রধান আকর্ষণ মুসলিম উম্মাহর জাগ্রত কবি মুহিব খান। জাগ্রত কবি মুহিব খানের উপস্থিতিতে এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মনে জাগরণ সৃষ্টি হয়।
মুহিব খানকে দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা হাজারো মানুষের ভিড় জমায়। সর্বশেষ রাত ৯টায় জাগ্রত কবি মুহিব খান মঞ্চে উঠে তার বিখ্যাত সংগীত ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি, এদেশে আল্লাহু আকবরের সুরে, সবাই মেলাও হাতে হাত সহ কয়েকটি জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করলে শ্রোতাদের মধ্যে চরম উদ্দীপনা বিরাজ করতে থাকে।
জাগ্রত কবি মুহিব খান সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আজকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি এ জাতির জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মূলত সাংস্কৃতিই একটি জাতিকে চিরকাল ধারণ করে। বাংলাদেশের ৯০% মুসলমান সেদিন স্বাধীনতা যুদ্ধে সসস্ত্র অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, তা অক্ষুন্ন রাখাই বর্তমানে আমাদের কর্তব্য।”
এসময় তিনি দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে হুংকার ছুড়ে তার বিখ্যাত সংগীত ‘আবার যুদ্ধ হবে’ পরিবেশন করলে শ্রোতাদের কণ্ঠসুরে বার বার প্রকম্পিত হতে থাকে উত্তরা ১৩নং সেক্টরের মাঠ সহ আশেপাশের স্থানসমূহ।
সর্বশেষ দর্শকদের অনুরোধে জাগ্রত কবি আরাকানের মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ পূর্বক ‘আরাকান-আরাকান’ সংগীতটি পরিবেশনের মাধ্যমে সবার কাছ থেকে বিদায় নেন।
বিবেকের আদালতে আল্লামা ইকবাল ও মুহিব খান প্রসঙ্গ