তাওহীদ মাদানী
দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত
আজ দারুল উলুম দেওবন্দে জার্মান দূতাবাসের দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল আগমন করে। তারা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷
শিক্ষকগণ তাদের মাদরাসার বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখান এবং তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে পর্যালোচনা করেন৷ এ সময় দারুল উলুমের চিন্তা-চেতনাও তাদের সামনে তুলে ধরেন।
জার্মান দূতাবাসের প্রতিনিধি দল দারুল উলুমের মোহতামিম মুফতী আবুল কাসেম নোমানী এবং জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সদর আল্লামা কারী সাইয়েদ ওসমান মানসুরপুরি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেন৷
দেওবন্দে এসে জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ ড. জেসপারবিক এবং তার সহকর্মী অনিত বিসলের দেওবন্দের কুতুবখানা ও নতুন-পুরাতন ভবনগুলো পরিদর্শন করেন৷
দেওবন্দের মুহতামিম মফতী আবুল কাসেম নোমানী মেহমানদেরকে দেওবন্দের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বলতে গিয়ে বলেন, দেওবন্দ থেকে প্রতি বছর অগণিত শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট করে দুনিয়ার আনাচে-কানানাচে ছড়িয়ে গিয়ে দীন ও ইসলামের খেদমত করছে৷ দীন ও ইসলামের পতাকা সমুন্নত করছেন৷
তিনি আরও বলেন দেওবন্দে বর্তমানে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। যাদের থাকা ও খাওয়াসহ সার্বিক দারুল উলুমই করে থাকে। দারুল উলুম দেওবন্দ সরকারের কোনো সাহায্য নেয় না৷ আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসই এই প্রতিষ্ঠানের সম্বল৷
জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ বলেন, আমি বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে দায়িত্ব পালন করেছি৷ সব জায়গায় আমি দেওবন্দের প্রসিদ্ধি ও সুনাম-সুখ্যাতি শুনেছি৷ আমি ভারতে আসার পরপরই এ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের আগ্রহ আমার মাঝে জেঁকে বসে৷ দীর্ঘদিন যা অপূরণীয়ই ছিলো। আজ আমার সেই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হলো।
তিনি আরো বলেন, আমার এও জানা আছে দারুল উলুম দেওবন্দ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার দৃষ্টান্ত উক্ত প্রতিষ্ঠান নিজেই৷ দারুল দেওবন্দের শিক্ষকদের সাথে সাক্ষাৎ করে আমার হৃদয়ে অনেক প্রশান্তি লাভ হয়েছে৷ আত্মতৃপ্তি লাভ করেছি এখানে এসে৷
তিনি আরো বলেন, ইসলামের পতাকাকে সমুন্নত করার জন্য এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুবই জরুরি৷