আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়েছে জমিয়তে।
গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত স্ট্যাটাসে জমিয়ত নেতা নিজ দলের কিছু নেতা-কর্মীর উপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং তাদের ব্যাপারে জমিয়তের সভাপতি শায়খ জিয়াউদ্দীন ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিভিন্ন সূত্রে আওয়ার ইসলাম জানতে পেরেছে, ১৮ নভেম্বর শনিবার ঢাকার আরজাবাদ মাদরাসায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম ছিলো, কিন্তু তাতে মুফতি ওয়াক্কাস সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকেই দাওয়াত দেয়া হয় নি।
কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশাও কর্মশালার দাওয়াত পান নি। কিন্তু কর্মশালায় উপস্থিত হন এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে দাওয়াত না পাওয়ার কারণ জানতে চান।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহর করেন। এরপর তিনি স্থানত্যাগ করেন এবং নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ স্ট্যাটাস দেন।
অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশা চৌধুরী উল্লিখিত বিবরণের সত্যায়ন করে আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘আজ জমিয়তের অস্থিরতা এ মানুষটার (সাংগঠনিক সম্পাদক) জন্যই। মুফতী সাবের (মুফতী মোহাম্মদ ওয়াক্কাস) বিষয়টিও তার জন্য সমাধান হচ্ছে না।’
‘শুনেছি, জোটের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য উনি মরিয়া। উনি জানেন, আমি ও মুফতী সাব থাকলে উনি মনোনয়ন পাবেন না। তাই আমাদের সাথে এমন আচরণ করছেন যেনো নিজ থেকেই আমরা সরে যাই। ওনার মনে রাখা উচিৎ, আমরা থাকি না থাকি; জোটের পক্ষ থেকে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই সামান্য।’ বলেন শাহীনূর পাশা।
এ ব্যাপারে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘শাহীনূর পাশা আসছেই খাওয়ার সময়। এসে উৎপত শুরু করে। এর কাছে বলে আমি চিঠি কেনো পেলাম না, ওর কাছে বলে কেনো চিঠি পেলাম না। প্রশিক্ষণে আসছে বসে কথা শুনবে। তা না করে নালিশ করে বেরাচ্ছিলো। তখন আমি বলছি, অনেকেই তো চিঠি পায় নি; এতে নালিশ করার কি আছে?’
চিঠি না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটি আমেলার মিটিং না। নিয়মাতান্ত্রিক কিছু না। জেলা পর্যায়ের নেতাদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এ আয়োজনের জন্য চিঠি ইস্যু করা বাধ্যতামূলক নয়।’
তাহলে যারা চিঠি পান নি তাদেরকে চিঠি দেয়াই হয় নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চিঠি অনেককে দেয়া হয়েছে, অনেককে দেয়া হয় নি। দেয়া তো বাধ্যতামূলক ছিলো না।’
আমেলার নামে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘চিঠি ইস্যু করা হয়েছিলো। কিন্তু অনেকে পেয়েছে আবার অনেকে পায় নি।’
মাওলানা শাহীনূর পাশার ফেসবুক স্ট্যাটাস