আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ বলেছেন, উলামায়ে কেরামের নিকট ধর্মীয় বিষয়াদি জিজ্ঞেস করার অধিকার রয়েছে নারীদের । ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
রাসুল সা. এর হাদিস দ্বারাও বিষয়টি প্রমাণিত। হজরত আয়েশা রা. বলেন, নারীদের মধ্যে আনসারি নারীরা উত্তম। কেননা ধর্মীয় বিষয় জিজ্ঞেসের ক্ষেত্রে লজ্জা তাদের বাধা দিতে পারে না।তারা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করে।
তিনি জুমার খুৎবায় বলেন, যে ইলম অনুযায়ী আমল করা হয় না, যে আমলে নিষ্ঠা থাকে না, যে সম্পদ কল্যাণের কাজে ব্যবহৃত হয় না, যে অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা নেই, যে সময়ে ভালো কাজ করা হয় না, যে অবকাশে ভালো কাজ করা হয় না তা মূল্যহীন।
ইমামুল হারাম আরও বলেন, উলামায়ে কেরাম রাসুলুল্লাহ সা. এর উত্তসূরী। তাদের ধর্মীয় বিধি-বিধান বর্ণনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ধর্মীয় জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কোনো মাসয়ালা জানতে চাওয়া জ্ঞান এবং তার উত্তর দেয়া উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।
শায়খ সালেহ বলেন, ইসলাম মানুষকে প্রশ্ন করার শিষ্টাচার শিখিয়েছে। উত্তর দেয়ার মূলনীতি বলে দিয়েছে। কোনো ব্যক্তি ইসলামের কোনো বিধান না জানলে উপযুক্ত ব্যক্তি থেকে তা জেনে নেয়া দায়িত্ব।
একই ভাবে কেউ কোনো প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেয়া এবং সন্তোষজনক ধর্মীয় বিধান তাকে জানানো আলেমদের জন্য ফরজ।ধর্মীয় জ্ঞান লুকানো বা এ বিষয়ে উদাসীন থাকা বৈধ নয়।
আলেমদের পরীক্ষা করা, যাচাই করা বা বিরক্ত করার জন্য প্রশ্ন করা গুনাহের কাজ। প্রশ্নকারীর জন্য আবশ্যক হলো, আলেমে দীনকে সম্মান করা, নম্র স্বরে সুন্দর ভাষায় কথা বলা, মনোযোগসহ উত্তর শোনা।
বেয়াদবি করা, মন্দ ভাষায় কথা বলা ও বুঝেও না বোঝার ভান করা করবে না।
উলামায়ে কেরামও উদার মনের পরিচয় দিবেন। প্রশ্নকারীর মন্দ ভাষা, মন্দ ব্যবহার ও অজ্ঞাতা সহ্য করবেন। তারা মানুষের সহজতার প্রতি লক্ষ রাখবেন। তাদের অবস্থা, জিজ্ঞাসা, যাতায়াত ও প্রয়োজনের বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন। তাদের কষ্টে ও দ্বিধায় ফেলে দিবে না।
তবে সহজতার অর্থ শরয়ি বিধানের ক্ষেত্রে অবকাশ দেয়া নয়। তার কোনো সুযোগও নেই। প্রশ্নকারী ও উত্তরদাতা উভয় ব্যক্তিই আল্লাহর জন্য কাজ করবেন। শরিয়তের বিধান যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করবে।
সূত্র : ডেইলি পাকিস্তান