সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

নীলফামারী থেকে হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা অবলোকন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাকারিয়া আল হোসাইন
নীলফামারী প্রতিনিধি

হিমালয় পর্বতমালার পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও কে২ এর পরে কাঞ্চনজঙ্ঘা হলো পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।এই পর্বতের  উচ্চতা৮ হাজার ৫৮৬ মিটার (২৮ হাজার ১৬৯ ফুট)। যা ভারতের সিকিম রাজ্যের সঙ্গে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত।

কাঞ্চনজঙ্ঘা শব্দটি শুনে তৎসম কাঞ্চন জঙ্ঘা মনে হলেও আসলে নামটি সম্ভবতঃ স্থানীয় শব্দ ‘কাং চেং জেং গা’ থেকে এসেছে, যার অর্থ তেনজিং নোরগে তার বই, ম্যান অফ এভারেস্ট (Man of Everest)-এ লিখেছেন ‘ তুষারের পাঁচ ধনদৌলত ’।

এটির পাঁচ চূড়া আছে তাদের চারটির উচ্চতা ৮, ৪৫০ মিটারের ওপরে। এ ধনদৌলত ঈশ্বরের পাঁচ ভান্ডারের প্রতিনিধিত্ব করে, এগুলো হলো- স্বর্ণ, রূপা, রত্ন, শস্য, এবং পবিত্র পুস্তক।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার পাশাপাশি নীলফামারীর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও এবার খালি চোখেই হিমালয় পর্বতের কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়া দেখা যাচ্ছে। হিমালয়ের দ্বিতীয় ও বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গের মোহনীয় সে দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।  তাই জেলা দু’টি ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সীমান্তবর্তী খোলা উঁচু স্থানগুলোতে।

দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, আগে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে তেঁতুলিয়ায় যেতে হতো। গত কয়েক বছরে ভালোভাবে দেখাও মিলছিলো না। কিন্তু এখন নীলফামারীর চিলাহাটি, ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানী ও নীলফামারী সদরের ইটাখোলার ফাঁকা স্থানে দাঁড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফশুভ্র গায়ে সূর্যকিরণে চকচকে উজ্জ্বল পাহাড়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘার একাধিক রূপ দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখার জন্য দুরবিন বা বাইনোকুলার সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে না।

বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রকৃতিতে এখন শীতের আবহ। মেঘমুক্ত নীলাভ আকাশে জ্বল জ্বল করছে সূর্যকিরণ। স্বচ্ছ আকাশে দৃশ্যমান হালকা সাদা মেঘের ভেলা। এ সময় পঞ্চগড় ও নীলফামারীর বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তরের দিকে তাকালে সহজেই দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার অপরূপ দৃশ্য।

তারা আরও বলেন, ‘আকাশে যখন মেঘ থাকে না, আবার কুয়াশা পড়াও শুরু হয় না, শুধু তখনই আমাদের এলাকা থেকে দেখা যায় বরফে ঢাকা ধবল পাহাড়ের চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা। সকাল ৮টা থেকে সূর্যকিরণে স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় আর সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা যায় শৃঙ্গটি’।

‘তারপর আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। শেষ বিকেলে সূর্যকিরণ যখন তির্যক হয়ে পড়ে বরফ পাহাড়ে, তখন ফের অন্য এক মহিমায় দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়াটি’।

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ