আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
আমেরিকায় একজন মুসলিম শিক্ষার্থীর হিজাব কেড়ে নেয়ায় এক শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হিজাব কেড়ে নেয়ার পর ওই শিক্ষার্থীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি শেয়ার করে। সে লেখে, আমি আমার শিক্ষিকাকে ভালবাসতাম এবং তাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করতাম। অথচ তিনি আমার মাথা থেকে আমার স্কার্ফ কেড়ে নিয়েছেন।
এরপর ওই শিক্ষিকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে।
ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স মিনি টাউন এই ঘটনাটিকে অগ্রহণীয় এবং অনুপযুক্ত অভিহিত করে ঘোষণা করেছে। অতি গুরুত্বের সাথে এই কাজের মোকাবেলা করা হবে এবং প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর উক্ত শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নাগরিক অধিকার সবচেয়ে বৃহত্তম সংস্থা আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স কাউন্সিল এই অঞ্চলের স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা বলেছে, ধর্ম অথবা নিজেদের বিশ্বাসের জন্য কোন শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালানো ঠিক নয়। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের সমর্থন করা। যেকোনো কারণে তাদের বিরক্ত অথবা ভয় দেখানো ঠিক নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সংস্থা এক প্রতিবেদনে প্রায় সময়ে হিজাবের কারণে শিক্ষকদের হাতে ছাত্রীদের লাঞ্ছিত হতে হয় বলে জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলের শিক্ষিকা অনুরূপ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে
এই শিক্ষিকাকে গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গত মাসে নিউইয়র্কের একটি স্কুলে শিক্ষক শাসনের অজুহাতে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী হিজাব ছিঁড়ে ফেলে। ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষের কারণে উক্ত শিক্ষককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র : ইকনা