আওয়ার ইসলাম: ৩৫ বছর পূর্বে ১৯৮১-৮২ সালে ফিলিস্তিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ কমান্ডো বাহিনীদের সংগঠন প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আজ ১১ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট, প্যালেস্টাইনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এবং ইয়াসির আরাফাতের হত্যার বিচারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক সরকার, সংসদের মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিক মোল্লা, সমাবেশ আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, প্যালেস্টাইনী কমান্ডো সৈয়দ সবুজ হোসেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এড. হাবিবুর রহমান শওকত, এড. ড. ইউনুস আলী আকন্দ, ঢাকার সাবেক সিএমএম আব্দুল মজিদ, মুজিব সেনা পরিষদের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আতিকুর রহমান টুলু, ডাকসুর সাবেক এজিএস মাহবুবুল আলম ভূইযা, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের সরকার, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব নুরুল আমিন রাজা, বাংলাদেশে প্যালেস্টাইনী ছাত্রদের পক্ষে মো. সেলিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান প্যালেস্টাইন মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাস বর্ণনা করেন। এই মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের শত শত যোদ্ধা আত্মত্যাগ করায় গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বাঙালি জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাঙালি জাতি ও সরকার সবসময় ফিলিস্তিন জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইয়াসির আরাফাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংসদের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ১৯৮২ সালে বিশ্ববিবেক যখন নীরব ও নিস্তব্ধ ছিল বঙ্গশার্দুলরা তখন বৈরুতের বেলাভূমিতে ইহুদি নিধনে মত্ত ছিল। বাঙালি যোদ্ধারা এফ-১৬, ট্যাঙ্ক একের পর এক ধ্বংস করেছে। যা বিশ্ব মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা সেভাবে প্রচারিত হয়নি এবং এই সকল যোদ্ধাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি।
মহাসচিব এবি সিদ্দিক মোল্লা বলেন, ৮২’র বৈরুত যুদ্ধে ৫ শতাধিক বাঙালি যোদ্ধা শহীদ হন এবং ৪৯৫ জন যোদ্ধা ইহুদি কারাগারে বন্দী হয়ে অমানসিক নির্যাতন ভোগ করেন। আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের সহযোগিতায় পরবর্তীতে তারা নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকার তখন এসকল যোদ্ধাদের ব্যাপারে কোন সহায়তা করে নাই।
বক্তারা বলেন, ইয়াসিন আরাফাতকে স্লো পয়জনে হত্যা করা হয়েছে। ইয়াসির আরাফাতের হত্যাকা-ের বিচারের দাবি জানান তারা।