আবদুস সাত্তার আইনী
লেখক, অনুবাদক
আমি রাহবার মাল্টিমিডিয়ার পক্ষ থেকে উমর সিরিজের পাঁচটি পর্বের (৭-১১) বাংলা অনুবাদ করেছিলাম। তারা ডাবিং করবেন বলেছিলেন। ভালো সম্মানীও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আর করি নি।
সমস্যাগুলো বলছি-
১। এ-বিষয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলাম, সৌদি আরব থেকে ‘ইযা যাহাবাত উকুলুল উলামা’ (আলেমদের জ্ঞান যখন লোপ পায়) নামের একটি বই বেরিয়েছে। এতে যারা এমন সিনেমা/মুভি/সিরিজ বানানোর পক্ষে কথা বলেছেন তাদের সমালোচনা করা হয়েছে এবং বেশ যৌক্তিক আলোচনা পেশ করা হয়েছে।
২। আমি যখন আগে সীরাত-বিষয়ক বই পড়তাম, সাহাবীদের নামগুলোর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি কাল্পনিক চেহারা আমার মনের আয়নায় ভাসতো। কিন্তু উমর সিরিজ অনুবাদ করার পর সীরাত-বিষয়ক বই পড়তে গিয়ে মন ও মগজের মধ্যে গোলমাল বেঁধে গেলো।
উমর (রা)-এর কথা পড়া মাত্রই এই চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন (সামের ইসমাঈল) তার চেহারা মনের মধ্যে, চোখের মধ্যে ভাসতে শুরু করলো। এই চেহারার বদলে আমি কিছুতেও আগের কাল্পনিক চেহারাটা আনতে পারছিলাম না। খুব পীড়িত বোধ করছিলাম।
৩। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এসব সিনেমা/মুভি/সিরিজ বানানোর উদ্দেশ্য কী তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এতে দর্শকদের কাছে সঠিক জ্ঞান বা তথ্য বা আবেদন পৌঁছে না। বরং প্রচুর বিভ্রান্তির আশঙ্কা রয়েছে।
তা ছাড়া এটা ভাবনা ও কল্পনার শক্তিকে হরণ করে নেয় এবং প্রত্যেক চরিত্রে সংশ্লিষ্ট অভিনেতার চেহারাকে মনের মধ্যে খোদাই করে দেয়।
আপনি উমর সিরিজের ৩২ পর্ব দেখলে কোনোভাবে এই সিরিজের পাত্রপাত্রীদের চেহারা আপনার মন থেকে মুছতে পারবেন না। এরপর কোনো বই পড়তে গেলেই বা কোনো আলোচনা শুনলেই তাদের মুখ আপনার চোখের মণিতে ও মনের আয়নায় ভাসতে থাকবে। তখন এটা আপনার জন্য যথেষ্ট পীড়াদায়ক হবে।
দুনিয়া থেকেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি